বগুড়ায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি এখনও অধরা, ২ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ হেফাজত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি মো. কলম (৩৪) এখনও অধরা। দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ফের তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পালিয়ে যায় সে।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারনে বগুড়া পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুলকে ক্লোজড করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বলেছেন দায়িত্ব অবহেলার জন্য ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সেইসাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: মোস্তফা মঞ্জুরকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর হাইস্কুল পাড়ার এমরান হোসেনের তিলকপুর বটতলায় এমরান নামে অটো ব্যাটারি হাউস ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ এজেন্টের দোকান রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন এমরান হোসেন।
বাড়ির কাছে পৌঁছামাত্র তিন ছিনতাইকারী তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় তার চিৎকারে জনগণ এগিয়ে এসে বাঁধন নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে সে আহত হলে পুলিশ তাকে আটক করে নওগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুনঘটনার সময় অপর দুই ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে চেপে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা রাত সাড়ে ৮টার দিকে আদমদীঘির আমইল গ্রামের লোকজন ছিনতাইকারী রাজু পালোয়ান ও মো. কলমকে আটক করে। এ সময় তাদের দুজনকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। খবর পেয়ে আদমদীঘি থানা পুলিশ দুই ছিনতাইকারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে।
এরপর তাদের আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হাতকড়া পরিহিত আসামি মো. কলম হাসপাতালের বাথরুমে যায়। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে।
ওই হাসপাতালে এই আসামিদের পাহারা দিচ্ছিলেন বগুড়া পুলিশ লাইনসের রিজার্ভ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মফিজুল ও কনস্টেবল জাকিরুল। পরে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় ওই আসামি।
মন্তব্য করুন