আ‘লীগ জিয়ার অবদান অস্বীকার করার পরিনাম ভোগ করতে শুরু করেছে : জেলা বিএনপি
বগুড়ায় বিজয় দিবসে বিএনপির র্যালি
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের ডাকে যে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো তা ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয়ের মাধ্যমে তা শেষ হয়। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত এবং মহিমান্বিত বিজয় দিবস।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৬ বছর স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি এদেশের মানুষ। এক ব্যক্তিকে তুলে ধরতেই ১৬ বছর পার হয়ে গেছে। যার নাম ১৬ বছর ধরে শেখানো হলে এক নিমিষে তার নাম নেওয়া মত লোক আর বাংলাদেশে নাই। এখন সময় এসেছে জাতির সামনে সত্য তুলে ধরার। জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকুত ইতিহাস জানাতে হবে। বক্তারা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ডের জন্ম হতো না। আমরা লাল সবুজের পতাকা পেতাম না। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ জিয়ার অবদান অস্বীকার করে গেছেন। এর পরিনাম তারা ভোগ করতে শুরু করেছে। তারা এখন দেশ থেকে বিতারিত।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উ নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতাযুদ্ধ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজী রেখে এ বিজয় ছিনিয়ে আনেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব কবে, কোথায় স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে সেটি এদেশের কারোরই জানা নেই। ৭ মার্চ যদি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়ে থাকেন, তাহলে ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে কেন পাকিস্তানের পতাকা ঝুলিয়েছে? তৎকালীন ছাত্ররা সেই পতাকা খুলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এড. সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এমআর ইসলাম স্বাধীন, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল।
আরও পড়ুন
আলোচলা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাঈন, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মহিলা দলনেত্রী এড. শাহাজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শোহরিয়ার গোর্কী, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ময়নুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
এর আগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে। দুপুরে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ থেকে র্যালি বের করে বগুড়া শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার নেতৃত্বে র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. একেএম মাহবুবুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী রফিকুল ইসলাম, ভিপি সাইফুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন চাঁন, মাহাবুবর রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, এমআর ইসলাম স্বাধীন, এড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খাইরুল বাশার, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এড. সাইফুল ইসলাম, ডা. শাহ মো. শাহজাহান আলী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাঈন, বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মহিলা দলনেত্রী এড. শাহাজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোলায়মান আলী প্রমুখ।
এছাড়া সকালে মহান বিজয় দিবসে মুক্তির ফুলবাড়ীতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন