ভিডিও শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত এলাকা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত এলাকা, ছবি : দৈনিক করতোয়া

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : শস্যভান্ডার খ্যাত ধানের জেলা হিসেবে সারাদেশে দীর্ঘদিনের সুনাম রয়েছে দিনাজপুরের। এবছর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় সুগন্ধি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে ৩৯ হাজার ৯শ’ মেট্রিক টন কাটারিভোগ সুগন্ধি ব্রি-৩৪ ধানের ফলন হয়েছে। এছাড়া মোটা এবং মাঝারি জাতের ধান ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে ৯০ হাজার ৬ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠে সোনালী ধানের শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কিছু সবুজ ধান গাছ হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। বাতাসে সুগন্ধি ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারদিক। দেশে এবং দেশের বাইরে এ সুগন্ধি চালের চাহিদা থাকায় দিন দিন চাষ বাড়ছে।

এ বছর ভালো ফলনও হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা। তবে ফলন ভালো হলেও ধানের দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সব এলাকাতেই অন্যান্য ধানের পাশাপাশি সুগন্ধি ধানের চাষ হয়েছে। তবে আলাদীপুর, এলুয়াড়ী, বেতদিঘি, কাজিহাল ইউনিয়নের সুগন্ধি ধান বেশি চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলায় ৮ হাজার ৮৭৬ হেক্টর জমিতে ৩৯ হাজার ৯শ’ মেট্রিক টন কাটারিভোগ সুগন্ধি ব্রি-৩৪ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এছাড়া মোটা এবং মাঝারি স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, ব্রী-৭৫, ৮৭, ৯০, ৯৩, ৯৪, ৯৫ জাতের ধান ১৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে ৯০ হাজার ৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। এসব ধান পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে, যার ৩০ শতাংশ কাটা হয়েছে।

আরও পড়ুন

কৃষি বিভাগ বলছে, ধানের দাম ভালো থাকায় এ বছর ৫০ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ তৎপর থাকায় রোগবালাই নেই বললেই চলে তাই ফলনও ভালো হয়েছে। এ উপজেলার পাশাপাশি সদর, বিরল, পার্বতীপুর ও চিরিরবন্দরসহ জেলার কয়েকটি উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সুগন্ধি ধান আবাদ হয়।

এ অঞ্চলে চিনি কাটারি, জিরা ৩৪, জিরা কাটারি, জটা কাটারি, কাটারিভোগ, ফিলিপাইন কাটারি, কালো জিরা, চল্লিশ জিরাসহ বেশ কয়েকটি প্রজাতির সুগন্ধি ধান আবাদ হয়। এই চাল দেখতে সরু ও লম্বা। এসব সুগন্ধি ধান এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে।

দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান বলেন, এবার প্রথমবার ২০শতক জমিতে সুগন্ধি ধান আবাদ করেছেন। ধানের ফলন খুব ভালো তবে খরচ বেশি। বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে জমিতে পানি দিতে হয়েছে। এবার সার, কীটনাশক ও ধান কাটা শ্রমিকের দামও বেশি। দাম ভালো না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, সুগন্ধি ধান দিনাজপুরের ঐতিহ্য। সুগন্ধি ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ বছর সুগন্ধি ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকরাও অনেক খুশি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলনবিল থেকে বিশ্বমঞ্চ, এবার রেজোয়ানের নৌকাস্কুল পেল ইউনেস্কো কনফুসিয়াস পুরস্কার

বগুড়ায় সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাব ঢাকা ও বগুড়ার খেলায় কেউ জেতেনি, ফুটবলের জয় : মাঠ ভরা দর্শক

বগুড়া পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে জামায়াত প্রার্থীর সোহেলের গণসংযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

নওগাঁর বদলগাছীতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরি না পাওয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে হামলা

লালন সাঁইয়ের ১৩৫ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শাহজাদপুরে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান