বগুড়ার শেরপুরে টমেটো চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক হায়দার আলী

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বাজারে পাওয়া যাচ্ছে আগাম জাতের শীতকালীন বেশিরভাগ সবজি। এরমধ্যে বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আগাম জাতের টমেটো। সরবরাহ কম থাকায় দামটা বেশিই। আর মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে আগাম জাতের টমেটো বাজারজাত করবেন চাষি হায়দার আলীসহ অনেকেই। তাই রাত-দিন সমান তালে ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব কৃষক।
ভালো দাম পেতে শীতকালীন টমেটো বাজারে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করছেন শেরপুর উপজেলার গুয়াগাছি গ্রামের টমেটো চাষি হায়দার আলী, মাকোরকোলা গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেনসহ অনেকেই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল টমেটো চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে সুঘাট ইউনিয়নে।
এবার বিউটি ফুল প্লাস, বহুমলি, বাবজি, লাভলী, বিপুল প্লাস জাতের টমেটোতে ঝুঁকেছেন কৃষক। এসব জাতের টমেটোর ভালো ফলন হওয়ার কথা বলছেন কৃষকরা। স্বপ্ন দেখছেন ভাগ্য পরিবর্তনের। সবজি চাষে বেশ সাফল্য এনেছেন এই উপজেলার কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চাষি খলিলুর রহমান, সোনা উল্লাহ, ফেরদৌস খান, বদিউজ্জামানের সঙ্গে। তারা জানান, ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগামী সপ্তাহে আগাম জাতের টমেটো বাজারে তুলবেন। আশা করছেন তাদের প্রদ্যাশিত দাম পাবেন।
আরও পড়ুনসুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের টমেটো চাষি হায়দার আলী জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। টমেটো চাষ আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু করেন। আড়াই মাসে ফলন পাওয়া যায়, বিধায় আগামী সপ্তাহে বাজারে উঠনো হবে। তিনি বলেন, এক বিঘায় ৩০ হাজার টাকার মত খরচ করেছেন, প্রায় ২ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। তাই ভালো ফলনের পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ার আশা। মির্জাপুর হাটের কাঁচাবাজার দোকানি আসাদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে টমেটে ১৫০ টাকা কেজি থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর সাইজ ছোট ও দেখতে তেমন ভালো না হলেও নতুন হওয়ায় মানুষ বেশি দাম দিয়েই কিনছেন।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জিএম মাসুদ জানান, রোগবালাই থেকে ক্ষেতমুক্ত রাখতে সার্বক্ষণিক আমরা ব্যবস্থা পত্রের মাধ্যমে ও সরেজমিনে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার জানান, আগাম টমেটো চাষের প্রতি কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কৃষি অফিস তাদেরকে আরও আগ্রহী করে তুলতে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণও দিয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন