ভিডিও সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

ফুলবাড়ীতে গাছে গাছে আমের মুকুল

ফুলবাড়ীতে গাছে গাছে আমের মুকুল

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :  দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রকৃতিতে বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছে শীতের বুড়ি। সময়ের পালাবদলে শীতের শেষে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঋতু রাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনের আহবানে শিমুল ফুটেছে, ফুটেছে পলাশ।

গ্রামে গ্রামে মেঠো পথে কখনও দূর সীমানা থেকে টানে ভেসে আসছে কোকিলের কুহ কুহ কলতান। নানা ফুলের সাথে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুলও। গাছে গাছে আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে কেবলই মৌ মৌ করতে শুরু করেছে চারিদিকে। মুকুলের সেই সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের হৃদয়।

বনফুল থেকে মৌমাছির দল গুনগুন করে ভিড়তে শুরু করেছে আমের মুকুলে। গাছের শাখা পর শাখায় ফুলগুলোর চারিদিকে যেন ফাগুনের রুপের ঝলসানোময় উৎসবের জানান দিচ্ছে। ঋতু বৈচিত্র্যে আমের অন্যতম শহর দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর সবুজ প্রকৃতির আমেজ অনেকটা এমনই আবেগের। বসন্তের ফাগুন আর আমের মুকুল তাই যেন একই গাঁথা।

বছরের এই নির্দ্দিষ্ট সময় জুড়ে তাই চাষিতো বট্ইে চলতে ফিরতে কম-বেশি সকল শ্রেণিপেশার মানুষেরও দৃষ্টি থাকে চিরসবুজ আমগাছের মগডালে। আমের গাছের সদয় মুকুল ফোটার এই দৃশ্য ছেয়ে গেছে ফুলবাড়ীর শহর ও গ্রাম।

ফুলবাড়ী উপজেলার সব এলাকাতেই এখন রয়েছে আমের বাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর এই আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। তবে গড়ে উঠা নতুন আমবাগানগুলো প্রায় বনেদী জাতের। বিশেষ করে নিয়মিত জাত অম্রপালী, ন্যাংরা, গোপালভোগ, হাড়ীভাংগা, ক্ষিরসাপাতি ও আশ্বিনা জাতের গাছ বেশি হচ্ছে।

আরও পড়ুন

এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল, ফুল, গুটি আক্রান্ত হতে পারে।

এক্ষেত্রে ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক দুই গ্রাম অথবা ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার দশমিক দুই গ্রাম, তরল দশমিক ২৫ মিলিলিটার ও সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কিটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আবার মুকুল গুটিতে রুপান্তরিত হলে একই মাত্রায় ২য় বার স্প্রে করতে হবে।

এছাড়াও পাউডারি মিলবাগ নামের এক প্রকার ছত্রাকজনিত রোগে আমের ফলনের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কখনো গাছে এ রোগের আক্রমণ দেখা দিলে অবশ্যই সালফার ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে সাত থেকে ১০ দিন ২ বার স্প্রে করতে হবে বলে জানান উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, ধান চাল বা অন্যান্য ফসলের মতো আম উৎপাদনের কোনো লক্ষ্যমাত্রা কৃষি অধিদপ্তরের কাছে থাকে না। তবে ফুলবাড়ী উপজেলায় ৪ হাজার ৩শ’ হেক্টর জমিতে আমগাছ ও বাগান রয়েছে। আগামী বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তার পানিতে আবারও তলিয়ে গেছে বাদামসহ রবিশস্য

লিপস্টিকের দাম বাড়ছে

সিরাজগঞ্জ বাস-মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন

মিরপুর থেকে রাইড শেয়ারের যাত্রীকে নরসিংদীতে নিয়ে ধর্ষণ, স্বীকারোক্তি

জুতার ভেতর থেকে ১২টি সোনার বার উদ্ধার

কুড়িগ্রামে ইজারাদার গ্রেফতার ও বোদায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা