কালোটাকা সাদা করার প্রতিবাদ জানাবেন এ কে আজাদ
কালোটাকা সাদা করার প্রতিবাদ জানাবেন এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, পাচারকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাব।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব আয়োজিত ‘অর্থনীতির চালচিত্র ও প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আজাদ।
তিনি বলেন, বৈধ আয় করে ৩০ শতাংশ কর দেবে আর পাচারকারী কর দেবে ১৫ শতাংশ। এটা হতে পারে না। পাচারকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য জনগণ জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেনি। জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাব।
রাজনৈতিক সাপোর্ট ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) টাকা পাচারকারীদের ধরতে পারবে না উল্লেখ করে আজাদ বলেন, এর ফলে পার পেয়ে যাচ্ছেন পাচারকারীরা। যার জন্য বাড়তি করের মাশুল গুণছেন জনগণ। এটা হতে পারে না।
অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের আমলারা বেশি সুবিধা পায় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের বাহন মোটরসাইকেলের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। অথচ আমলাদের জন্য পাজেরো গাড়ি আনা হচ্ছে শুল্ক ছাড় দিয়ে। আমলাদের জন্য এমন সুবিধা পৃথিবীতে আর কোনো দেশে নেই।
অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রনয়ণে আমলা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আর প্রভাবশালী অলিগার্কদের কথা শুনেছেন। আমলারা তাদের সুযোগ সুবিধা ঠিক রেখেই বাজেট প্রণয়নের কাজ করেছেন। পরিশ্রমী উদ্যোক্তা আর অর্থনৈতিক কর্মীদের কথা শোনেন নি।
আর বাজেটের ঘাটতি মেটাতে টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে দেশের অর্থনীতির জন্য সেটি বিপদজনক হবে বলে মন্তব্য করেছে অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এছাড়া বেনজীর ইস্যুতে তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করেই শত শত কোটি টাকা ঢুকেছে। আবার হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেলো। ১০ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হলে তার তথ্য প্রমাণ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে থাকে। কিন্তু বেনজীরের টাকা গায়েবের তথ্য ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছে নেই। তাদের ওপর নজর দেয়া দরকার।
মন্তব্য করুন