ভিডিও বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ

কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহমেদ মুঈদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর মরদেহ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ সিলেটে দাফন করা হবে। এর আগে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নুরকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

উল্লেখ্য, তিন বছর আগে যখন হারিছ চৌধুরীকে এ কবরস্থানে দাফন করা হয়, সেই সময় তাকে মাহমুদুর রহমান হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল পরিবার। হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ২০২১ সালের ওই দিন বাদ আছর আমি ওই নামাজের জানাজায় ইমামতি করি। দাফনের সময়ও আমি উপস্থিত ছিলাম। আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, যে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে, আমরা জানতে পেরেছি এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ। তিনি যখন মারা যান, তখন করনোর সময় চলছিল। তার পরিবার তাকে নিরাপদ ও ভালো জায়গায় কবরস্থ করতে এখানে নিয়ে আসে। তার মেয়ে একটা রিট করেন গত ২৪ সেপ্টেম্বর। ওই পিটিশনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি সংস্থা এখানে আসি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন, রেজিস্টার্ড জেনারেলের কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, জেলা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাভার থানা পুলিশ উপস্থিত রয়েছে। সবার উপস্থিতিতে কবর খনন করা হচ্ছে। এরপর মরদেহ চিহ্নিতে যা যা সংগ্রহ করা দরকার, সেগুলো নেওয়া হবে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কিনা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। পরিবার তাকে রাষ্ট্রীয় যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আর পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন

হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন মানতে রাজি হয়নি, মাহমুদুর রহমান আমার বাবা। তারা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন পর্যন্ত করতে দেয়নি। এমনকি বাবার মৃত্যু সনদও দেয়নি। বাবার মৃত্যু নিয়ে তো ধূম্রজাল থাকতে পারে না। অনেকেই বলছেন, হারিছ চৌধুরী মারা যাননি। পালিয়ে আছেন, গা ঢাকা দিয়ে আছেন। যাচ্ছে তাই বলা হচ্ছে। একটা ভালো মানুষকে ‘ক্রিমিনাল’ সাজানো হয়েছে। সত্যি লুকিয়ে রাখা যায় না। এখন এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে। তার সম্মান সে ফিরে পাচ্ছে। আব্বুর যে শেষ ইচ্ছা ছিল, সে অনুযায়ী তার দাফন হবে। আদালত যেভাবে বলবে সেভাবেই তৎপরতা নেওয়া হবে।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শমী কায়সার গ্রেফতার

ভোট দিলেন ট্রাম্প; জয়ের বিষয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী

সাংবাদিকরা দেশের পিলার ও সংবাদ সমাজের আয়না : রংপুরে নবাগত বিভাগীয় কমিশনার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করায় ৪ ব্যবসায়ীর জরিমানা

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে ১২৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার

নওগাঁর মান্দায় চার্জার ভ্যানসহ কিশোর চালক নিখোঁজ