রাষ্ট্রীয় শোক: আতশবাজি-ফানুস-ডিজে পার্টি নিষিদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে আগামী শুক্রবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালিত হচ্ছে। এ সময়ে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এদিকে আজ বছরের শেষ দিন। সাধারণত এ দিনটিকে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’ হিসেবে উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। ডিএমপির নিষাধাজ্ঞার পরও আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ওড়ানো হতো। কোথাও কোথাও ডিজে পার্টিও চলতো। তবে বেগম জিয়ার মৃত্যুতে এই দিনে শোক পালন করা হচ্ছে। আর ডিএমপির পক্ষ থেকে এবারও এইসব আয়োজন থেকে সরে আসার নির্দেশ দেয়া হলো।
আরও পড়ুন
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শোক পালনকালে ঢাকা মহানগর এলাকায় সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ওড়ানো নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে পার্টি, র্যালি বা শোভাযাত্রা আয়োজন করা যাবে না।
এছাড়া উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো বা গণ-উপদ্রব সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বেগম জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে মরদেহ দাফনের জন্য নেয়া হয় জানাজা শেষে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জিয়া উদ্যানে। এ সময় সড়কের দুপাশে অসংখ্য মানুষ দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেসময় এলাকাজুড়ে শোক ও নীরবতার আবহ বিরাজ করে।
বিকেল সাড়ে ৪টার পর স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়াকে দাফন করা হয়। খালেদা জিয়ার কবরে সবার আগে নামেন তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নিজ হাতে তিনি তার মাকে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করেন।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক







