ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০২ বিকাল

ফি আমানিল্লাহ অর্থ কী?

ফি আমানিল্লাহ অর্থ কী?

আমাদের দেশে বিদায় নেওয়ার সময় বা কাউকে বিদায় দেওয়ার সময় ‘ফি আমানিল্লাহ’ বলার প্রচলন আছে। ‘ফি আমানিল্লাহ’ অর্থ ‘আপনাকে আল্লাহর নিরাপত্তায় সোপর্দ করছি’ বা ‘আল্লাহ আপনাকে নিরাপদ রাখুন’।

বিদায়ের সময় ‘ফি আমানিল্লাহ’ বলার বিধান

কল্যাণের দোয়া হিসেবে কাউকে বিদায় জানানোর সময় বা বিদায় নেওয়ার সময় ‘ফি আমানিল্লাহ’ বলা উত্তম কাজ। নবীজিও (সা.) কাউকে বিদায় দেওয়ার সময় নিরাপত্তার জন্য দোয়া করতেন।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন কাউকে বিদায় দিতেন, তখন তার হাত ধরতেন এবং সে নিজে থেকে হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার আগ পর্যন্ত হাত ধরে রাখতেন। হাত ছেড়ে দেবার সময় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন,

أَسْتَوْدِعُ اللَّهَ دِينَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيمَ عَمَلِكَ

উচ্চারণ: আসতাওদিউ-ল্লাহা দীনাকা ওয়া আমানাতাকা ওয়া আখিরা আমলিকা

আরও পড়ুন

অর্থ: আপনার দীন আমানত আমানাত ও আপনার শেষ আমল আল্লাহর কাছে সমর্পণ করলাম। (সুনানে আবু দাউদ: ২৬০০)

উল্লেখ্য যে, কারো সাথে দেখা হলে যেমন সালাম দেওয়া সুন্নত বিদায় নেওয়ার সময়ও সালাম দেওয়া সুন্নত। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মজলিসে পৌঁছবে তখন যেন সে সালাম করে।

এরপর যদি তার সেখানে বসতে ইচ্ছে হয় তবে বসবে। পরে যখন উঠে দাঁড়াবে তখনও সে যেন সালাম দেয়। প্রথম সালাম পরবর্তী সালামের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। (অর্থাৎ মজলিসে প্রবেশের সময় এবং বের হওয়ার সময় উভয় সময়ে সালাম দেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।) (সুনানে তিরমিজি: ২৭০৬)

তাই বিদায়ের সময় সালামও দেয়া উচিত। সালাম দেওয়ার পাশাপাশি ‘ফি আমানিল্লাহ’ বলা যেতে পারে, নবীজি (সা.) থেকে বর্ণিত উপরোক্ত দোয়াটিও বলা যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফি আমানিল্লাহ অর্থ কী?

দুস্থ বাচ্চাদের সিক্রেট সান্টা হতে চাই: অদ্রিজা রায়

নখ কাটার সময় যে ভু্ল বিপদ ডেকে আনতে পারে

ময়মনসিংহে দিপু হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬

তারেক রহমানের গণসংবর্ধনা শেষে গন্তব্যে ফিরছেন কর্মী-সমর্থকরা

পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত ২