সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ৩ মানব পাচারকারী গ্রেফতার
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শনিবার রাতে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য এক নারীসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের ঘিয়ালা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, তার মেয়ের জামাই একই উপজেলার মধ্য বড়হর গ্রামের মোন্নাফ প্রামাণিক এবং মোনাফের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন। তাদেরকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসা উল্লাপাড়া উপজেলার ভুতগাছা গ্রামের ভুক্তভোগী ফিরোজ আহমেদ বাদি হয়ে শনিবার রাতে গ্রেফতারকৃত ৩ জনসহ অজ্ঞাত ৮ জনের নামে মানব পাচার আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি অভিযোগ করেন, চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে তার ছেলে উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজের ছাত্র রফিকুল ইসলাম স্বাধীনকে ইতালিতে পাঠানোর কথা বলে আবুল কালাম আজাদ প্রথম দফায় তার কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।
এরপর স্বাধীনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী ৮ মাস ধরে তাকে ভারতের চেন্নাই, দুবাই, মিশর, শ্রীলঙ্কা এবং সর্বশেষ লিবিয়ায় নিয়ে রাখা হয়। সবশেষে লিবিয়া থেকে স্পিডবোটে অপর বিদেশগামী যুবকদের সঙ্গে গত নভেম্বর মাসে ইতালির উদ্দেশে রওনা করা হয়। তিনি খবর পেয়েছেন, ইতালি যাওয়ার পথে স্পিডবোট উল্টে সবাই ডুবে যায়। এরপর থেকে তার ছেলে স্বাধীন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুনউপজেলার পার তেঁতুলিয়া গ্রামের আব্দুল মোনায়েম অভিযোগ করেন, আবুল কালাম আজাদ গত মার্চ মাসে রফিকুল ইসলাম স্বাধীন-এর সঙ্গে তার ছেলে ফজলুর রহমানকে নিয়ে যান। এ সময় তার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। গত নভেম্বর মাসে স্পিডবোটে ফজলুর রহমানও যাত্রী ছিল। স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার পর ভাগ্যক্রমে ফজলু বেঁচে যায় এবং একটি আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী মানবিক সংস্থার মাধ্যমে গত শুক্রবার সে বাড়ি ফিরে আসে। ফজলু তাকে জানিয়েছে, নিখোঁজ স্বাধীন সম্ভবত বেঁচে নেই।
স্বাধীনের মা নার্গিস খাতুন রোববার বিকেলে তার ছেলের ছবি হাতে নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ছেলের সন্ধান এবং তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার আকুতি জানান। সেই সঙ্গে দালাল আবুল কালাম আজাদ ও তার সহযোগীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন।
মন্তব্য করুন







