ভিডিও মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:৪৫ রাত

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ ও লক্ষণ

শরীরে নীরব ঘাতক ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ৮ লক্ষণ জেনে নিন

শরীরে নীরব ঘাতক ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ৮ লক্ষণ জেনে নিন

ক্রনিক কিডনি ডিজিজে কিডনি ধীরে ধীরে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে। রক্ত থেকে বর্জ্য ছেঁকে ফেলার কাজ কমে গেলে শরীরে জমে যায় টক্সিন। অথচ কিডনি শুধু বর্জ্যই ছাঁকে না—এটি হরমোন উৎপাদন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তকণিকা তৈরি এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজও করে। তাই কিডনি অসুস্থ হলে শরীরে শুরু হয় নানা জটিলতা।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ বোঝা কঠিন হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয় কিছু লক্ষণ।

প্রাথমিক লক্ষণ
- ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন

- সব সময় ক্লান্তি ও দুর্বলতা

- ক্ষুধামান্দ্য

- হাত, পা ও চোখে ফোলা

- প্রস্রাব ফেনাযুক্ত বা বুদবুদ হওয়া

- চুলকানি, শুষ্ক ত্বক

- মনোযোগে সমস্যা, ঘুমে ব্যাঘাত

- বমি ভাব, পেশি টান, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া

কারণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ হলো, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। এ ছাড়া আরও কিছু কারণ হলো—

- গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস

- পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (জেনেটিক সমস্যা)

- প্রস্রাবের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া (পাথর, প্রস্টেট বা টিউমার)

আরও পড়ুন

- দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ সেবন

- পুনরাবৃত্ত কিডনি সংক্রমণ

এসব কারণে জটিলতা বাড়লে দেখা দিতে পারে অ্যানিমিয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, গাউট, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি, স্নায়ুর ক্ষতি, এমনকি শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।

চিকিৎসা
কিডনি রোগের স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। তবে সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে কিডনির কার্যক্ষমতা অনেকদিন ধরে রাখা সম্ভব। এজন্য দরকার নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ, ডায়াবেটিস-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কিডনিবান্ধব খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ, ধূমপান-মদ্যপান পরিহার এবং ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ।

প্রতিরোধের উপায়
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা

- রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ

- সুষম খাদ্য গ্রহণ

- ধূমপান-মদ্যপান বর্জন

- ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা

- অকারণে ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়া

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ একবার শুরু হলে তা আজীবন চলতে থাকে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সঠিক সময়ে চিকিৎসা, নিয়মিত পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে কিডনির কার্যক্ষমতা অনেক দিন সক্রিয় রাখা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, কিডনি রোগ যতটা ভয়াবহ, ততটাই প্রতিরোধযোগ্য। তাই সচেতন হোন, নিজের এবং পরিবারের কিডনির যত্ন নিন।

 

সূত্র : ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শরীরে নীরব ঘাতক ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ৮ লক্ষণ জেনে নিন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ আর বিমান মহড়ার মধ্য দিয়ে বগুড়ায় উদযাপিত হলো বিজয় দিবস

সিলেটের পাঁচ পীরের মাজার থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ঢাকায় বিজয় দিবস স্পিড স্কেটিং টুর্নামেন্টে বগুড়ার স্কেটারদের সাফল্য

সিঙ্গাপুরে হাদির অবস্থার অবনতির পর স্থিতিশীল: ইনকিলাব মঞ্চ