শীত উপভোগ করতে আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ
তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে
সামসউদ্দীন চৌধুরী কালাম, পঞ্চগড় : গত ১২ নভেম্বর চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এরপর থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছিল ১৩-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে অবস্থান করছিল। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) থেকে আবার নামতে শুরু করেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
১১ দিন পর আবারও আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৬ টায় আবারও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার কারণে শীত অনেকটা কম অনুভূত হচ্ছে। যা এখনও উপভোগের। আর এই শীত উপভোগ করতে পঞ্চগড়ে আসছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
বিভিন্ন পরিবহনে এসব পর্যটকরা এসে অবস্থান করছেন তেঁতুলিয়ায়। আর সকালের কুয়াশাভেজা সকালে মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ঐতিহাসিক তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো এলাকায়। কিন্তু টানা তিনদিন সবার দৃষ্টি কেড়ে আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে আবারও মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়েছে লজ্জাবতি কাঞ্চনজঙ্ঘা।
ঢাকার কাওরান বাজার এলাকা থেকে পঞ্চগড়ে বেড়াতে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা নজিবউদ্দিন সুজন বলেন, গত শনিবার সকালে ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ে এসেছেন। দিনভর রোদ দেখে মনে হয়েছে এটি ঢাকার মতই আবহাওয়া। রাতে কিছুটা শীত অনুভূত হলেও তা ছিল সহনীয়। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) দিনভর ঘুরে বেড়িয়েছেন তেতুলিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য এ যাত্রায় আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন হলো না। এক কথায় দুইদিনের আমার ভ্রমণ ছিল খুবই অ্যাডভেঞ্চার। খুব উপভোগ করেছি। এখন থেকে সুযোগ পেলে প্রতি বছর এই সময়টাতে পঞ্চগড়ে বেড়াতে আসব।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় জানান, চলতি সপ্তাহটাই তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে অবস্থান করছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এ মাসের বাকি দিনগুলোতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান অনেকটা কাছাকাছি অবস্থান করার কারণে কিছুটা শীত বেশি অনুভূত হবে। তবে ডিসেম্বরের প্রথম দিক থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
মন্তব্য করুন








