নতুন ধানের ঘ্রাণে প্রাণবন্ত নওগাঁর গ্রাম শহর
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে ৮টি ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন রোপা-আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। সোনালী রঙ বলে দিচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলা রোপা-আমন ধান চাষের দৃশ্য। মাঠে মাঠে বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শীষ।
চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ধানের ভাল ফলনের বুকভরা আশা করলেও গত মাসে বৃষ্টি আর ঝড় হাওয়ার কারণে ফলনের কিছুটা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। ধান পেকে গেলেও নুয়ে পরার কারণে ধান কাটতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে চাষিদের। তার পরও বাজারমূল্য ভালো থাকায় চাষিরা ক্ষতি সামাল দিয়ে পুষিয়ে নিতে পারবেন এমনটাই বলছেন তারা।
তবে ধান চাষে এবার লাভবান হতে পারবে না রাণীনগরের চাষিরা। সাথে সাথে আরো একটি ক্ষতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে আগাম জাতের রবি ফসল। ইতোমধ্যে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রান্তিক চাষিদের বিনামূল্যে রবি মৌসুমের ফসলের জন্য সার বীজ দেওয়া প্রায় শেষের পথে রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি রোপা-আমন মৌসুমে ১৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ১৮ হাজার ৭১০ হেক্টর।
ধান লাগানোর শুরুতেই খরার কারণে আবাদযোগ্য জমিতে প্রযোজনীয় সেচ দেওয়ার জন্য মাঠে মাঠে গভীর-অগভীর নলকূপগুলো চালু করা হয়। চলতি রোপা আমন ধানের মৌসুমের জন্য ১ হাজার ৭শ’ কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সারও বীজ প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুনউপজেলার কুজাইল গ্রামের উম্মোদ আলী জানান, আমি ৬বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিছু ধান গত মাসে ঝড় বৃষ্টির কারণে মাটিতে নুয়ে পরার কারণে ফলন কিছুটা কম হবে। তারপরও বাজারদর ভালো পেলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাবো। বর্তমানে বি-আর-৫ জাতের ধান প্রতিমন ১ হাজার ১৫০টাকা দরে বাজারে বেচা-কেনা হচ্ছে। আশা করি ধানের দাম আরো বাড়বে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ আফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। গত মাসের ঝড় বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হবে। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যে পুরো দমে মাঠের ধান কাটা শুরু হবে।
মন্তব্য করুন








