টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরে নিষিদ্ধ হলো গান-বাজনা
পরিবেশ ও জলজ প্রাণী সংরক্ষণের স্বার্থে টাঙ্গুয়ার ও হাকালুকি হাওরের জন্য “সুরক্ষা আদেশ” জারি করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১০ নভেম্বর) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশটি বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩-এর ধারা ২২ ও ২৭ অনুযায়ী এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জারি করা হয়েছে।
সুরক্ষা আদেশে হাওরের জলজ বন ও পাখি সংরক্ষণ, নিষিদ্ধ চায়না জাল ব্যবহার, অবৈধ বালু উত্তোলন ও অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। হাওরের সংবেদনশীল এলাকায় (পাখি ও মাছের প্রজনন কেন্দ্র, জলজ প্রাণীর আবাসস্থল) সরকারি অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করা, গাছ কাটা, জলস্রোত পরিবর্তন বা ভূমি ও পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিসাধন করা যাবে না।
আদেশে বলা হয়েছে, হাউসবোট ও নৌ-যানের মালিক ও ট্যুর অপারেটরগণ তাদের পরিচালিত ট্যুরে শব্দ দূষণকরী অর্থাৎ উচ্চ আওয়াজ সৃষ্টিকারী ইঞ্জিন বা জেনারেটর ব্যবহারকে নিশ্চিতভাবে পরিহার করবে, হাউসবোটে ও নৌ-যানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বহন করতে পারবে না। ট্যুর অপারেটরগণ ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের অধিক নৌযান ও হাউসবোট পরিচালনা করতে পারবে না, হাওর এলাকা সংশ্লিষ্ট বসতবাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরল ও কঠিন বর্জ্য হাওরে নির্গমন করা যাবে না।
আরও পড়ুননিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বা বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে হাওরে মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ, যথাযথ কর্তৃপক্ষে অনুমতি ব্যতীত হাওরে বালু, পাথর বা মাটি ইজারা প্রদান ও উত্তোলন নিষিদ্ধ, শুষ্ক মৌসুমে হাওরের কোনো জলাধারের পানি সম্পূর্ণভাবে নিঃশেষ করা যাবে না।
হাওর অঞ্চলে পাকা সড়ক নির্মাণ পরিহার করতে হবে। তবে, জরুরি বা বিশেষ প্রয়োজনবোধে সড়ক নির্মাণের প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে এবং সরকার অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এরূপ নির্মাণ কাজ শুরুর আগে অবশ্যই পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন সম্পাদন করতে হবে।
পানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুরক্ষা আদেশ লঙ্ঘন করা হলে বাংলাদেশ পানি আইন, ২০১৩ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। আদেশের উদ্দেশ্য হলো হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও বন, জলজ প্রাণী ও পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
মন্তব্য করুন

নিউজ ডেস্ক








