বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদক ট্রাজেডি পাঁচ বন্ধু কোথায়, কার কাছ থেকে মদ কিনেছিল তা আজও অজানা
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শাজাহানপুরে বিষাক্ত মদ সেবনে ৫ বন্ধুর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ‘মুল হোতা’ মাদক কারবারিরা এখনও অধরা। পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই ৫ জন কোথায় এবং কার কাছ থেকে বিষাক্ত মদ কিনেছিল তা আজও অজানা। এ বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারছে না।
শাজাহানপুর থানার ওসি মো: শফিকুল ইসলাম জানান, ওই ৫ জন বগুড়া শহর থেকে এই মদ সংগ্রহ করেছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কোন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা মদ কিনেছিল তা জানা যায়নি। তবে ওই মদ বিক্রেতাদের খুঁজে বের করে এনে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, তারা সম্ভবত চোলাই বা বাংলা মদ কিনে এনে এর মধ্যে অন্য মাদকদ্রব্য মিশিয়ে ককটেল বানিয়ে পান করেছিল।
যে কারনে মদ বিষাক্ত হয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিষাক্ত ও মাত্রারিক্ত মদ্যপান (এ্যালকোহল ইনটক্সিকেশন)’র কারণে তাদের কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছিল। শত চেষ্টাতেও বাঁচানো যায়নি। আর এই কিডনি বিকল হওয়ার কারনেই তারা মারা য়ায়। ওসি আরও বলেন ওই ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সেইসাথে ওই হাসপাতালের মর্গে তাদের মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে এসে পৌছেনি। পুলিশ সূত্র জানায়, নিহতরা হলেন,বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে আনসার সদস্য রঞ্জু মিয়া (৩০), একই গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান লিটন (৫০), আব্দুল হান্নান সোনারের ছেলে নাছিদুল (২৭) সুলতান মাহমুদের ছেলে মানিক আকন্দ (৩০) ও আবু বক্করের ছেলে আব্দুল্লাহ হেল কাফি (৩০)।
আরও পড়ুনউল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর দুর্গাপূজার শেষ দিন সন্ধ্যায় উপজেলার খোট্টাপাড়া গ্রামে ওই ৫ বন্ধু মিলে একসাথে বিষাক্ত মদ্যপান করেন। এরপর বাড়িতে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরদিন ৩ অক্টোবর দুপুরে তাদেরকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একের পর তারা মারা যান।
স্বজনরা জানান, নিহত মিজানুর রহমান লিটন (৫০) কৃষিকাজ করতেন। তার স্ত্রী জেসমিন আকতার খোট্টাপাড়া ইউপির সংরক্ষিত নারী আসনের মেম্বার। তার বিবাহযোগ্য ২ মেয়ে এবং ১৫ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত কাফি (৩০) সিএনজি চালক। তার স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। নিহত মানিক আকন্দ (৩০) ট্রাক চালক। তার স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সী কন্যা সন্তান আছে। নিহত নাছিদুল (২৭) সিএনজি চালক। স্ত্রী ও বাবা-মা রয়েছে তার। এছাড়া নিহত রঞ্জু মিয়া (৩০) উচ্চ শিক্ষিত। অবিবাহিত, কৃষক বাবাকে কাজে সহায়তা করতেন তিনি।
মন্তব্য করুন










