কাবরেরার বিদায় এবং হামজাকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার পরামর্শ আমিনুলের

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব হামজা চৌধুরীকে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তার মতে এই সিদ্ধান্ত নিলে উজ্জীবিত হবে দল এবং তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ফুটবলারদের মাঝে। এদিকে, ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে হাভিয়ের কাবরেরার সরে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন অমিনুল। স্ব-ইচ্ছায় তিনি সরে না গেলে বাফুফের উচিত তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানো।
হংকং চায়না ম্যাচে বাংলাদেশ দলের নামে অধিনায়ক ছিলেন সোহেল রানা। কাজে কর্মে দায়িত্বের পুরোটাই পালন করেন হামজা চৌধুরী। সেটা শুধু এই ম্যাচে নয়, লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চাপানোর পর থেকেই পুরো দলটাকে যেন একাই উজ্জীবিত করে চলেছেন লেস্টার সিটি তারকা। হামজার মতো একজন ফুটবলারের সংস্পর্শে আসা অন্যদের কাছে আশীর্বাদের মতো। মাঠে কৌশল থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল প্রায় সব কিছুইতে তার প্রভাব লক্ষণীয়। আর তাই অযথা অন্য কাউকে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরিয়ে মাঠে নামানোর চেয়ে, দায়িত্বটা হামজার কাধেঁই দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি হামজা চৌধুরীকে ক্যাপ্টেন্সি প্রদান করি তাহলে আমাদের বাংলাদেশ দল আরও অনেক বেশি উজ্জীবিত হবে, বাংলাদেশের দর্শকরাও উজ্জীবিত হবে। আমাদের এখন যারা অধিনায়কত্ব করছেন, তাদের হয়তো একেক সময় একেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। যেটা নিয়ে নিজেদের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে। এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু হামজা নেতৃত্ব দিলে আমার মনে হয় না এখানে কোনো প্রশ্ন থাকবে।’ সবশেষ ম্যাচে নিজের কৌশল আর প্লেয়ার সিলেকশনের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন হাভিয়ের কাবরেরা। অনেকের মতে দেশের ফুটবলে স্প্যানিশ কোচের আর দেওয়ার কিছুই নেই। ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে নিজে থেকেই হাভির সরে যাওয়া উচিত বলে বনে করেন সাবেক অধিনায়ক।
আরও পড়ুনতিনি বলেন, ‘কৌশল কিংবা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হয়তো মিলছে না। তাহলে কোচের নিজের থেকেই পদত্যাগ করা উচিত। আমাদের ম্যানেজমেন্টের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা যদি মনে করেন দীর্ঘদিন আমরা এ কোচকে দেখলাম, আশানুরূপ ফল পাচ্ছি না। তাহলে তারাও কোচকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে পারেন।’ সেরা পারফরম্যান্সের জন্য ফিটনেসের পাশাপাশি ফুটবলারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা খুবই জরুরি। হংকং চায়নার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে যেভাবে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, তাতে দলে একজন মনোবিদের প্রয়োজন এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন আমিনুল।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমাদের বাংলাদেশ দলে কোনো মনোবিদ আছে কিনা। তাহলে আমি মনে করি দ্রুত একজন মনোবিদ নিয়োগ দেওয়া উচিত। যার মাধ্যমে খেলোয়াড়রা প্রত্যেকে আরও বেশি মানসিকভাবে উজ্জীবিত হবে, শক্তিশালী হবে এবং তাদের সামর্থ্যটাকে তারা সর্বোচ্চভাবে বোঝাতে পারবে।’ পাশাপাশি ডিফেন্স এবং গোললাইনে যে সমস্যা আছে, হংকং চায়নার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগেই তার সমাধান করা উচিত বলে মনে করেন সাফ জয়ী গোলরক্ষক।
মন্তব্য করুন