ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণ, ৩ কিশোর কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন কিশোরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ একজন প্রতিবন্ধী। তার দৃষ্টিতে সমস্যা। ঘটনার দিন ২ অক্টোবর অভিযুক্ত তিন কিশোর ভুক্তভোগী গৃহবধূকে বলে- তোমার ছাগল চুরি করে নিয়ে গেছে। তোমার ছাগল পেতে হলে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে।
পরে স্থানীয় লিচু মিয়ার পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তিন কিশোর। এ সময় ভুক্তভোগীকে বিষয়টি না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। ঘটনার একদিন পর (৩ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ওই নারী ঘটনাটি তার মায়ের কাছে জানায়। পরে তার মা নাসিরনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলা আমলে নিয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়ার জন্য জেলে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধীর মা বলেন, আমার মেয়ের একমাস আগে বিয়ে হয়ছিলো। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহ না যেতেই ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার মেয়ে আমার বাড়িতে থাকে। এরই মধ্যে আমার মেয়েকে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। এখন আমি কার কাছে বিচার দিমু। আমার মেয়েটারে কে বিয়া করব।
আরও পড়ুনঅভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, এ ঘটনার সাথে আমাদের ছেলে কোনোভাবেই জড়িত না। কি কারণে আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলো সেটা বুঝতেছি না।
নাসিরনগর থানার ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, মেয়েটিকে ছাগল চুরির কথা বলে পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তিন কিশোর। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীর মায়ের দায়ের করা মামলার পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধ স্বীকার করেন। আদালতের মাধ্যমে তাদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন