ভিডিও বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জলমহালের ইজারা জেলেদের দিতে হবে: ফরিদা আখতার

ছবি : সংগৃহীত,জলমহালের ইজারা জেলেদের দিতে হবে: ফরিদা আখতার

জলমহালের ইজারা এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, জলমহালের কাছের মানুষের নামে অন্যরা জলমহাল ইজারা নেয়। এক্ষেত্রে জৈবভিত্তিক ইজারা দিতে হবে। অর্থাৎ এ পেশার সঙ্গে জড়িত জেলেদের দিতে হবে। বাওড়ে ইজারা জেলেদের দেওয়ার কথা নিশ্চিত হচ্ছে। তবে হাওর নিয়েও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা চলছে। যাতে প্রকৃত জেলেরা তা পায়।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ’ আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)।

পরিবারে পুরুষের সঙ্গে নারী জেলেদেরও কার্ড থাকতে হবে উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, সরকারের দেওয়া জেলে কার্ডে পুরুষ জেলেদের নামই আসে, মাত্র ৪ শতাংশ সেখানে নারী। পরিবারে একজন চাকরি করলে তিনিই চাকরিজীবী হন, কিন্তু যারা মাছ ধরে তার পুরো পরিবার এ কাজে যুক্ত। এ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময় নারীদের বেশি কাজ করতে হয়। তাই পুরুষ জেলেদের সঙ্গে নারীদেরও কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।


তিনি বলেন, এ সেমিনারে এসে দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমাদের জেলেদের বিশেষ করে নারী জেলেদের নিয়ে আরও বেশি কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত নারীদেরকে কৃষকের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আর নারী জেলেদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ নারী জেলেরা তার পরিবার পরিজনের জন্য নদীতে মাছ ধরেন। স্বামীর অবর্তমানে সংসার চালান।

ফরিদা আখতার বলেন, এ পেশায় পুরো পরিবারকে নিয়ে কাজ করতে হয়। মান্তা সম্প্রদায়ের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনে খুব কষ্ট পেলাম। জেলে সম্প্রদায়ের আইনগত সমস্যা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড় তুফানে অনেক জেলে মারা যায়, কেউ হারিয়ে যায়। সেসব পুরুষের হদিস না থাকায় ব্যাংকের টাকাও তুলতে পারে না তাদের স্ত্রীরা। তাছাড়া নারীকে বিধবা ভাতাও দেওয়া যায় না। এসব আইনি জটিলতা দূর করতে হবে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমাদের আইনগুলো পুরুষদের কথা চিন্তা করে করা। সেখানে নারীদের স্থান খুব কম। আগের মৎস্য আইনও একই ধরনের। তাই মৎস্য আইনের খসড়া ২০২৫ -এ আমরা এসব সমস্যার সমাধানে দৃষ্টি দিয়েছি। নারীদের স্বীকৃতি দিতে হলে সংখ্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। অথচ আমাদের তালিকায় নারী জেলের সংখ্যা খুবই নগন্য, মাত্র ৪ শতাংশ। কিন্তু সমাজে অসংখ্য নারী জেলে রয়েছেন। এসব ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি।


অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগের তালিকা অনুসন্ধান করে দেখেছি অমৎস্যজীবীরা মৎস্যজীবীর কার্ড নিয়ে গেছে। এখন সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। আমরা চাই যেন প্রকৃত জেলেরা কার্ড পেতে পারে। একই সঙ্গে যে পরিবারে পুরুষ জেলের কার্ড থাকবে সেখানে নারীদেরও থাকতে হবে।

কাঁকড়া ও ঝিনুক মানুষের খাদ্যের অংশ, এটিকে বন অধিদপ্তরের সংজ্ঞা থেকে বের করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাছাড়া যারা কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ ধরছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান ফরিদা আখতার।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা সময়ে যতজনকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় সহযোগিতা দেওয়া দরকার- তা দেওয়া সম্ভব হয় না। এর পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়াতে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিবি নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা

ইরিনা নাহারের সনদ জালিয়াতি প্রমাণিত : বেরোবির চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার

এআই ট্রেন্ডে চমকে দিলেন আলিয়া

দুর্গাপূজায় ৫ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে সরকার

পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিশন উন্মুক্ত করার দাবিতে আমদানিকারকদের সংবাদ সম্মেলন

দিনাজপুরের খানসামায় ৬৮ কেজি গাঁজাসহ আটক ১