রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত সাবিনা ইয়াসমিন, গানে গানে মুগ্ধ করলেন দর্শককে
_original_1757342372.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ বাংলাদেশের কালজয়ী সঙ্গীতশিল্পী, জীবন্ত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার সাবিনা ইয়াসমিনকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র ব্যবস্থাপনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান করা হলো। বাংলাদেশের আরেক প্রখ্যাত অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক আফজাল হোসেন যখন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহনের জন্য সাবিনা ইয়াসমিনের নাম ঘোষনা করেন তখন রাজধানীর সেগুনবাগিচার ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনের নীচে এবং উপরে উপস্থিত শত শত দর্শক করতালির মধ্যদিয়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গ্রহনের সময় সাবিনা ইয়াসমিনেরই দীর্ঘদিনের সহশিল্পী খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা’সহ পাশে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস আরা, নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া ও আগুন। সম্মাননা গ্রহন শেষে সাবিনা ইয়াসমিন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী’সহ উপস্থিত সকল নিমন্ত্রিত অতিথি, দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’-এর মূল পর্ব শুরুর আগে শিল্পকলা একাডেমির সিনিয়র নৃত্যশিল্পী ইয়াসমিন লাবণ্য’সহ আরো বেশ কয়েকজন শিল্পী দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন সাবিনা ইয়াসমিনেরই গানে। এরপর আসে সেই অবিস্মরণীয় মুহুর্ত। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন একে একে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। শুরুতেই তিনি দেশাত্ববোধক গান ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ গানটি পরিবেশন করেন। এরপর তিনি ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো’,‘ ফুল যদি ঝরে গিয়ে আজকে রাতে’,‘ শত জনমের স্বপ্ন’,‘ অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান’,‘ এই মন তোমাকে দিলাম’,‘ আমি আাছি থাকবো’,‘ ইশারায় শীষ দিয়ে’ ,‘শুধূ গান গেয়ে পরিচয়’ ও ‘সে যে কেনো এলোনা’ গানগুলো পরিবেশন করেন। প্রতিটি গানের ফাঁকে ফাঁকে সাবিনা ইয়াসমিনকে মূল্যবান কথা বলেন উপস্থিত সঙ্গীত ব্যক্তিত্বরা। শুধু তাই নয় খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম ও আগুন উল্লেখিত গানগুলো ছাড়াও সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে অন্য দ্বৈত গান অল্প করে হলেও দর্শকের অনুরোধে শুনিয়েছেন। আর সেই মুহুর্ত যেন দর্শকের কাছে আরো উপভোগ্য হয়ে উঠে। সাবিনা ইয়াসমিনের ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ শীর্ষক এই আয়োজনটি তার সঙ্গীত জীবনের এই সময়ে এসে এক অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করে গেলো। কারণ গানে গানে এভাবে সাবিনা ইয়াসমিনকে পাওয়াটা এবং এই সময়ে সত্যিই যারা এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়। দেশের প্রতিথযশা ও এই প্রজন্মের তরুণ মিউজিসিয়ানরা সাবিনা ইয়াসমিনের ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ আয়োজনটিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে নিরলস শ্রম দিয়েছেন। পুরো আয়োজনকে ঘিরে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,‘ সব মিলিয়ে পুরো আয়োজনটি আমার কাছে সত্যিই দুর্দান্ত লেগেছে, ভীষণ ভীষণ ভালোলেগেছে। কারণ জাতীয় পর্যায়ে এমনকরে এককভাবে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়া বিরাট একটি বিষয়। আগে এভাবে সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিল্পকলার ব্যবস্থাপনায় এভাব্ধেসঢ়; এককভাবে কাউকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে কী না আমি জানিনা, তবে এই আয়োজনের নেপথ্যে যারাই ছিলেন-বিশেষত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা’সহ আরো যারা মন্ত্রণালয়ের, শিল্পকলার নেপথ্যে থেকে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং ্ধসঢ়;এই পুরো আয়োজনের জন্য আমি সত্যিই অনেক অনেক আনন্দিত। আন্তরিক ধন্যবাদ আমার সকল মিউজিসিয়ানদের প্রতিও।’ অনুষ্ঠানে এক ফাঁকে প্রয়াত মহানায়ক বুলবুল আহমেদ’র স্ত্রী ডেইজি আহমেদ, তার দুই কন্যা তিলোত্তমা ও ঐন্দ্রিলা ‘বুলবুল আহমেদ ফ্ধাসঢ়;উণ্ডেশন ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিনের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে একুশে পদক ও ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদকে এবং ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
মন্তব্য করুন