প্রাইভেট কার ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার শাজাহানপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি : ৭ জন গ্রেফতার

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: শাজাহানপুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ফার্ণিচার বোঝাই পিকআপ গাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটনায় র্যাব-১২ বগুড়া ও থানা পুলিশ ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কার ও বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ উত্তর পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাতুল (২২), শাবরুল কারিগর পাড়া গ্রামের বিপুল হোসেনের ছেলে তারেক হোসেন (৩২), বগুড়া সদর উপজেলার সাতশিমুলিয়া গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে সুমন প্রামানিক (২২), একই উপজেলার সুলতানগঞ্জ পাড়া এলাকার মৃত পুটু মিয়ার ছেলে সাব্বির পাশা ওরফে শাওন (৩৩), একই এলাকার মৃত গোলাম মো. পাশা'র ছেলে মোস্তফা পাশা ওরফে শ্যামল (৩৫), মালগ্রাম উত্তর পাড়ার মৃত কামাল মিয়ার ছেলে কালাম ওরফে সুরমা কালাম ওরফে জামাল (৩৪) এবং নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সাজ্জাদের ছেলে রাসেল আহম্মেদ (৩৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার বছিলা এলাকা থেকে একটি টাটা পিকআপ গাড়ি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ফার্ণিচার নিয়ে গাইবান্ধা ও দিনাজপুরে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পিকআপটি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রহিমাবাদ বি-ব্লক এলাকায় ওভারপাসের ওপড় পৌঁছে। এ সময় ৩টি প্রাইভেট কারে থাকা ১৪-১৫ জনের একদল ডাকাত লাল আলোর টর্চ লাইট দিয়ে সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায় এবং নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পিকআপের ড্রাইভার আল-আমীন (৩৫)কে হাতকড়া পড়ায় এবং হেলপার রফিক (৪৫)সহ তাদের দু'জনকে পিকআপ থেকে নামিয়ে হাত-পা বেঁধে ডাকাতদের প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সেই সাথে পিকআপ গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ ডাকাতরা নেয়।
প্রাইভেট কার চলন্ত অবস্থায় পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপারের কাছে থাকা ২টি স্মার্টফোন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতেরা। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ভোর ৫টার দিকে বগুড়া দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের ঘুনিয়াতলা নামক স্থানে হাত-পা, চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদের রাস্তার পাশে গভীর খাদে ফেলে রেখে ডাকাতরা চম্পট দেয়।
আরও পড়ুনউক্ত ডাকাতির ঘটনায় পিকআপ গাড়ির মালিক মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (৪০) বাদি হয়ে গত ১৩ আগস্ট শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর পর থেকেই শাজাহানপুর থানা পুলিশ এবং র্যাব-১২ বগুড়ার সদস্যরা ডাকাতির সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। মামলা দায়েরের দিন রাত ১১টার দিকে সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে রাতুল (২২)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তিতে পর্যায়ক্রমে মোট ৭ ডাকাতকে র্যাব ও পুলিশ গ্রেফতার করে। শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত ৭ ডাকাতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া লুন্ঠিত মালামাল এবং ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
মন্তব্য করুন