তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৩৭ ডিগ্রীতে
শরৎ ঋতুর প্রথম মাস ভাদ্রে খাঁ খাঁ করছে প্রকৃতি, পুড়ছে জনজীবন

স্টাফ রিপোর্টার : ঋতুতে চলছে ভাদ্র মাস। যদিও এবছর বর্ষাকালে ভাল বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ ভাদ্রের ১৮ দিন পার হলো। শরৎ ঋতুর প্রথম মাস ভাদ্র এখন মধ্যভাগে। দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভাদ্রের তালপাকা গরমে-ঘামে অস্বস্তি এবং অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোথাও কোথাও আকাশে হঠাৎ মেঘ জমে বিক্ষিপ্ত মাঝারি থেকে ভারী কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবুও গরম এবং সূর্য দহনে উত্তাপ ছড়িয়েছে প্রকৃতিতে। এতে খাঁ খাঁ করছে প্রকৃতি, পুড়ছে জনজীবন।
ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু হিসেবে পরিচিত ভাদ্র-আশ্বিন মাস। এই ঋতুতে সকালে কাশফুল পদ্ম, শালুক প্রভৃতি ফুল ফোটে। দুপুরে তালপাকা গুমট ভ্যাপসা গরম পড়েছে। রোদের তীব্রতার মাঝেই নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে দৃষ্টিন্দন ভাবে।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ছিল ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রী। একদিনের ব্যবধানের তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে দেশে চলমান এই গরমের মধ্যে সাহরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও কিছু কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ বইতে পারে। সোমবার সকাল থেকে এখনও বৃষ্টির দেখা মেলেনি কোথাও, বরং তাপদাহে জনজীবন হাঁসফাঁস করছে।
বেশকিছু দিন আবহাওযা সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর হঠাৎ করে তাপমাত্রার পারদ চড়ে গরমে মানুষের চলাচল কমে যায় শহরে। ঠা ঠা রোদে বৃষ্টির দেখা নেই। ব্যক্তিগত কাজে বের হওয়া মানুষজনকে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনসবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। অটো রিকশা নিয়ে বের হয়ে একটা ভাড়া সাতমাথা থেকে কলোনী ভাড়া নিয়ে গিয়ে বসে থেকে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ষাটোর্ধ সুলেমান আকন্দ। বললেন, রোদে বের হতে পারিনা। খুব কষ্ট হয়। বাধ্য হয়ে বসে থেকে জিড়িয়ে নিচ্ছি। এমন রোদ থাকলে আজ অল্প টাকা ভাড়া নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানায়, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ অত্যাধিক থাকায় ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে ঘামের অস্বস্তি বেড়েছে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়ায় বাতাসে জলীয়বাষ্পের হার ছিল ৯৪ শতাংশ, যা অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বে। তাছাড়া বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার এই অসহনীয় অবস্থা সহ্য করতে হবে মানুষ ও প্রাণিক’লকে।
মন্তব্য করুন