প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)-তে শত শত সাবেক সিনিয়র ছাত্রনেতা রয়েছে। বিগত ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত একটি পক্ষের চক্রান্তে একই কমিটি বহাল থাকে।২০২২ সালে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের পর, অসংখ্যবার পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে সভা আহবান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগিদ ও অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে একটি চক্রের তিন সদস্য দিয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যত ডেজাকে অচল করে রাখা হয়। উক্ত মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে গনতান্ত্রিকভাবে একটি গতিশীল কমিটির দাবীতে ২০২৫ সালে সাবেক ছাত্রদল নেতারা দাবী উত্থাপন করতে থাকেন। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া সত্বেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখায় তীব্র অসন্তোষ, ক্ষোভ, অভ্যন্তরিন কোন্দল এবং বিভক্তি সৃষ্টি হয়, এমনকি ডেজার গ্রুপ ত্যাগ করার ঘটনাও ঘটে।
দখলকারীরা ক্ষমতার দাম্ভিকতা প্রদর্শন করে হুমকি ধামকি দিয়ে, এমনকি অনেককে লাঞ্চিত করেও প্রতিবাদী কন্ঠ স্তব্ধ করতে ব্যর্থ হয়। তারা ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রায় নব্বই শতাংশকে অন্ধকারে রেখে কোন সভা ও নির্বাচক কমিটি গঠন না করে অতীব গোপনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গনতান্ত্রীক প্রক্রিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা অগ্রাহ্য করে স্বৈরাচারী কায়দায় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে ডেজা-র একটি পকেট কমিটি প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন
এ্যাব ও আইইবি-তে পদ-পদবী প্রাপ্তি ও বানিজ্যের লোভে ডুয়েট তথা ডেজা-র নেতৃত্ব ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করার গভীর ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ এই গভীর রাতের স্বঘোষিত ও স্ব-স্বাক্ষরিত পকেট কমিটি। মাত্র তিন জন পদলোভী ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ এর নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে এবং দলের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করে, যোগাযোগ ও সন্মতি ব্যতিরেকে নিজেদের পছন্দ ও ইচ্ছা মতো শতাধিক নেতার নাম যুক্ত করে এই বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য পূর্নাঙ্গ কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে বিগত ১৮.০৮.২০২৫ তারিখ গভীর রাতে ডেজা-র হোয়াটসআপ গ্রুপে প্রকাশ করে।পরবর্তীতে বিভ্রান্তির মাধ্যমে সংগঠনের ভ্রাতৃপ্রতিম অন্যান্য ইউনিটের কাছে গ্রহণযোগ্যতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে অসত্য তথ্য সংযোজন করার অপকৌশল করে বিভিন্ন সামাজিক, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রচার ও প্রকাশ করার ব্যবস্থা করে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডুয়েট- এর বৃহত্তর স্বার্থে ভবিষ্যত করনীয় নির্ধারন করতে আলোচনার জন্য গত ২০ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে "প্রিন্স বাজার গ্র্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট)"- এ ডুয়েট -এর ফাউন্ডার ভিপি, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রব খানের সভাপতিত্বে ডুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ভিপি, জিএস সহ অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সাবেক ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ তাদের অগোচরে সম্পুর্ন অগনতান্ত্রিকভাবে ব্যক্তিবিশেষের খেয়ালখুশী মতো ঘোষিত কমিটির তথাকথিত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষরেই পকেট কমিটি ঘোষনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। নেতৃবৃন্দ সর্বসন্মতিক্রমে এই স্বঘোষিত কমিটি প্রত্যাখান করে, খুব শীঘ্রই ডুয়েটের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাক্তন সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সাধারণ সভা আহবান করে যথাযথ প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট শাখার প্রায় সকল সাবেক সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং অন্যান্য সম্পাদক, নির্বাচিত ভিপি, জিএস, এজিএস সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করা হলো:
প্রকৌশলী আব্দুর রব খান, ফাউন্ডার ভিপি, ডুয়েট, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক পরিষদ
প্রকৌশলী আব্দুস সালাম খান, ফাউন্ডার জিএস, ডুয়েট এবং সাবেক সহ সভাপতি, এ্যাব
প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সাবেক সিনিয়র ছাত্রদল নেতা, ডুয়েট ছাত্রদল
প্রকৌশলী মকবুল আহমেদ, সাবেক সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট এবং সাবেক সাধারন সম্পাদক, তিতস গ্যাস ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন
প্রকৌশলী এস এম আলী আকবর,প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম নুরু, আহবায়ক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী জাকির হোসাইন, সাবেক সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মো: গোলাম মোস্তফা, সাবেক সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মোঃ আনিসুর রহমান, সভাপতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মিন্টু, সাবেক ভিপি ও এজিএস, ডুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং সহসভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মোঃ মজিবুর রহমান কাজল, সাবেক ভিপি, জিএস, এজিএস, ডুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এবং সহসভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী বেনজির আহমেদ, সাবেক সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মো: মোস্তফা কামাল, সাবেক এজিএস কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডুয়েট, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী আবু মোঃ সাজ্জাদ বাবু, সাবেক জিএস, ডুয়েট কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ
প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন মিলন, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মোঃ আমানুল ইসলাম আমান, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডুয়েট
প্রকৌশলী বিজু বড়ুয়া, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী আবু হাসানাত উজ্জ্বল, সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী সৈয়দ কামারুল ইসলাম রিয়াজ, সহ-সভাপতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডুয়েট।
প্রকৌশলী মোঃ ফজলার রহমান সভাপতি ছাত্রদল, কে এন আই হল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মন্নুর আহমেদ, সহ-সভাপতি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট
প্রকৌশলী মোঃ আইনুল হক জেমস, যুগ্ম সম্পাদক ছাত্রদল, কে এন আই হল, ডুয়েট।
প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম রিমন সভাপতি ছাত্রদল এফ আর খান হল, ডুয়েট।
প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম শিপলু, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ডুয়েট