দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্রোত ও কচুরিপানার চাপে ভাঙল বাঁশের সাঁকো

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইছামতি নদীতে জনগণের চলাচলের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত হেদলের ঘাটের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নদীতে পড়ে যাওয়ায় শত শত মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ ও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এ চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁশের সাঁকোটি দ্রুত সংস্কারের দাবি করেছেন নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারকসাহার হাটের সন্নিকটে এ সাঁকোটির পূর্বে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের মধ্য আলোকডিহি এবং পশ্চিম প্রান্তে সাতনালা ইউনিয়নের জোত সাতনালা গ্রাম রয়েছে। এ দুই ইউনিয়নের মাঝে ইছামতি নদী। নদীর দুই পাড়ের শত শত মানুষের যোগাযোগে এ নদীই বাঁধা। এ বাঁধা দূর করতে গ্রামবাসী নিজেরাই স্থানীয়ভাবে বাঁশ সংগ্রহ ও অর্থ তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেন এ বাঁশের সাঁকো।
নদীর দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের ভরসা ছিল এ সাঁকোটি। চলতি বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কচুরিপানা আটকে এবং স্রোতের তোড়ে অন্তত আড়াইশ’ ফুটের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত সুবিধা বিঘ্নিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনএদিকে, সাঁকোর অভাবে মানুষকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে কলেজ মোড় হয়ে ঘাটের পাড়ের সেতু দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অথচ এ দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল মাত্র ৫ মিনিটের পথ বাঁশের সাঁকো পার হলেই তারকসাহার হাটসহ আলোকডিহি ইউনিয়নসহ সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদে সহজেই যাতায়াত করা যায়।
সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক শাহ বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি ও উজান থেকে আসা কচুরিপানা এসে নদীর ওই স্থানে থাকা বাঁশের সাঁকোতে বাঁধাগ্রস্ত হয়। কচুরিপানার সাথে স্রোতের অতিরিক্ত চাপে সাঁকোটি ভেঙে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেহা তুজ জোহরা ক্ষতিগ্রস্ত সাঁকোর স্থান পরিদর্শন করেছেন। তার দিকনির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যেই সাঁকোটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন