বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাবেশ
জামানত হারানোর ভয়ে কিছু দল নির্বাচনে না গিয়ে পি আর পদ্ধতির কথা বলছে : বাদশা

স্টাফ রিপোর্টার : বর্ণাঢ্য আয়োজনে বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকালে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে বেলুন, ফেস্টুন উড়িয়ে, কবুতর ছেড়ে এবং কেক কাটার মধ্য দিয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।
র্যালির আগে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুলের সভাপতিত্বে এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, এড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম খায়রুল বাশার, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান সন্ধান সরকার, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক নতুন, জেলা বিএনপির কোষাধক্ষ শাহাদৎ হোসেন, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জামিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেব দলের সভাপতি সরকার সিফাত প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে ঘোড়াগাড়ি নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আগে সকাল ৯ টায় দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এই সরকারকে সব সময় সহযোগীতা করেছি। কিছু দল নির্বাচনে যেতে ভায় পায়, তারা জামানত হারাবে বলে নির্বাচনে না গিয়ে সংস্কার ও পি আর পদ্ধতির কথা বলছে।
আরও পড়ুনবিভিন্ন ভাবে নির্বাচনকে বনচালের চেষ্ট করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে। রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, খুন হয়েছেন। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ছাত্র-জনাতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করতে পেরেছি এবং শেখ হাসিনা বংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক এক নির্বাচন। যারা নির্বাচন চান না তাদের কোন জনসমর্থন নাই। একারণে অপচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলছে। বাংলাদেশের মানুষ ভোটের জন্য ১৭ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। তারা ভোটের জন্য উন্মুখ, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কোন ভাবেই আগামী ফেব্রুয়ারি পর নির্বাচন নয়। সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেল সাড়ে ৪ টায় র্যালি করার কথা হলেও দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে খন্ড খন্ড মিছিল আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে আসতে থাকে। এক সময় বগুড়া শহর মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন