ভিডিও সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

বগুড়ার রাজাবাজার এলাকার করতোয়া নদী দখল করে গড়ে তোলা ৪ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বগুড়ার রাজাবাজার এলাকার করতোয়া নদী দখল করে গড়ে তোলা ৪ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ছবি: দৈনিক করতোয়া

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদী অবৈধ ভাবে দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা শুরু করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার অংশ হিসেবে রোববার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে রাজা বাজার এলাকায় করতোয়া নদী দখল করে গড়ে তোলা ৪টি স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাহামা ও মো. রশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলার সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার, পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আসাদুল হক, এস ও হাসান প্রমুখ।  

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে দুটি আড়ৎ একটি আবাসিক ভবন এবং একটি আবাসিক হোটেলের অংশ বিশেষ ভাঙ্গা পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আসাদুল হক জানান, করতোয়া নদী দখল করে কিছু ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করে। তাদেরকে একাধিক বার বলার পরও তারা সরে যায়নি। দখলকারিরা ওই জায়গা নিজেদের দাবি করে আসছিলো। পরবর্তীতে একাধিকবার নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেন পরিমল প্রসাদ রাজ, কানাই লাল আগরওয়ালা ময়নার আড়ৎ এর কিছু অংশ নদীর সীমানার মধ্যে হওয়ায় তা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও একটি আবাসিক হোটেল ও আবাসিক ভবন উচ্ছেদের তালিকায় রয়েছে। জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সহকারি কমিশনার(ভূমি) এর কার্যালয় থেকেও  মাপজোক করা হয়। প্রতিবারই দেখা যায় তারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। পরবর্তীতে আজ সম্মিলিত সিদ্ধান্তে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের কিছু অংশ করতোয়া নদীর মধ্যে রয়েছে সোমবার (আজ)বা পরের দিন তার উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, আজ ভাঙ্গা শুরু হয়েছে। কালও চলবে। কেউ কেউ একদিন সময় নিয়েছে আসবাবপত্র সরে নেওয়ার জন্য, তারা মুচলেকাও দিয়েছে। সরে না নিলে আবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন করতোয়া নদী খননের পর ওই স্থান দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হলে আর দখল হতো না। নদী দখল মুক্ত রাখতে দুই পাড়ে রাস্তা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন

সহকারি কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার জানান, নদীর মধ্যে যে সব ভবন রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সমন্বিত ভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে। ৪টি বিল্ডিং ভাঙ্গা পড়েছে। করতোয়া নদী দখল করে কোন স্থাপনা করা থাকলে তা অপসারণ করা হবে। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সম্পাদক জাহিদ

রাজশাহীতে দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার অনিন্দ্য ৫ দিনের রিমান্ডে

ভোরের দর্পণ পত্রিকার বগুড়া অফিসের স্টাফ রিপোর্টার ইলিয়াসের মায়ের ইন্তেকাল

সালাহ্উদ্দিন লাভলুর নুতন ধারাবাহিক ‘ফুলগাঁও’তে তারা

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের তিন থানায় নতুন ওসি

র‌্যাব-১৩’র অভিযানে পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ২ জন গ্রেফতার