নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, সতর্ক বিজিবি
_original_1754916210.jpg)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারের তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।
গতকাল (১০ আগস্ট) রোববার মধ্যরাতে ঘুমধুম-মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে ঘুমধুম-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় শতাধিক গুলির শব্দ শোনা যায়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান থাকলেও মাঝে কিছুদিন সীমান্ত-লাগোয়া এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ ছিল। হঠাৎ গতকাল রাত ১১টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এপারের তমব্রু বাজারসহ একাধিক এলাকায়। এ সময় কয়েক শ গুলির শব্দ শোনা যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত থেকে ২০০-৩০০ মিটারের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। মিয়ানমার সরকারবিরোধী আরাকান আর্মি ও আরসা বাহিনীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাঁরা আরও জানান, কয়েক মাস আগে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে সীমান্ত এলাকাটি দখলে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ফলে সংঘর্ষ রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা বা আরএসওর সঙ্গেও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, দীর্ঘদিন পর সীমান্তে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়ায় স্থানীয়রা কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে এ ঘটনায় কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে টহল ও সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক এস এম খায়রুল আলম বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়, ওপারে। তবু সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে। টহল চলমান আছে।
মন্তব্য করুন