অটোরিকশাটি চলে যাওয়ার সময় আরও এক রাউন্ড গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাছির আহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘নিহতের ঘাড়ে গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনপুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ জুন রাতে বদরখালীর নুরুল হুদাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নুরুল হুদার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার রায়ে আদালত সোহায়েতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জামিন পেয়ে নিজ এলাকায় ফিরেছেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহায়েতকে কারা গুলি করেছে তা জানা সম্ভব হয়নি। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় চার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বদরখালীর নুরুল হুদা হত্যা মামলায় সোহায়েতকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক বছর কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।