বগুড়ায় যুবদল নেতা অতুলকে কুপিয়েছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার: যুবদল বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক অতুল চন্দ্র দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে মুখোশধারী র্দুবৃত্তরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়ছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহররে উপকণ্ঠে সাবগ্রাম বন্দরে তার ওপর এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। কেন, কী কারনে তার ওপর এই হামলা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে এ হামলা হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল জানান, হামলার সময় তিনি অতুল চন্দ্র দাসের সাথেই ছিলেন। রাত ১০ টার দিকে শহররে নবাববাড়ি সড়কে বিএনপি র্কাযালয় থেকে বের হন অতুল চন্দ্র দাস।।
এরপর তারা দুটি মোটর সাইকেলযোগে ৪ জন সাবগ্রামে অতুল চন্দ্র দাসের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি সাবগ্রাম বন্দরে একটি ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনার জন্য সেখানে মোটর সাইকেল থেকে নামেন। এ সময় তিনি সেখানে আধা ঘন্টারও বেশি সময় ধরে গল্প করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ সেখানে ৭/৮ জন মুখোশধারী র্দুবৃত্ত এসে যুবদল নেতা অতুলের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতুলকে মাথা ও শরীররে বিভিন্ন স্থানে কোপাতে থাকে। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন তারাসহ স্থানীয় লোকজন অতুলকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে র্দুবৃত্তরা তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করে মোটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যান তারা। সেখান থেকে আবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাত ২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গতরাত ৭ টার শেষ খবর অনুযায়ী তিনি বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে।
তার পরিবার সূত্র জানায়,হত্যার উদ্দেশেই তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলা বিএনপি’র অফিস থেকে সাবগ্রামে তার বাড়িতে ফেরার পথে যুবদল সদর উপজেলা আহবায়ক কমিটির আহবায়ক অতুল চন্দ্র দাস (৫০) সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তিনি বলেন,এ হামলার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল মিছিল-সমাবেশ হয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। অন্যথায় হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুনবগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানিয়েছেন- এ ঘটনায় জড়িত মুখোশধারী র্দুবৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে । সেইসাথে তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গুলি করার যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয় । গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা র্পযন্ত এ ব্যাপারে কেউ থানায় মামলা করেনি।
মন্তব্য করুন