ভিডিও সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে চাকরি প্রত্যাশীদের ফের অবস্থান

এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে চাকরি প্রত্যাশীদের ফের অবস্থান, ছবি: সংগৃহীত।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অনিয়ম ও বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং চূড়ান্ত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ ও সনদ প্রদানের দাবিতে রাজধানীর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় অবস্থান নেন তারা। 

এ সময় অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘দাবি মোদের একটাই, সনদ চাই সনদ চাই’, ‘সনদ চাই, দিতে হবে’, ‘এক দফা এক দাবি, সনদ চাই, সনদ চাই’ স্লোগান দেওয়া হয়। চাকরি প্রত্যাশী আলাল হোসেন বলেন, ১৫ দিন ধরে আমরা লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছি, কারণ আমাদের দাবিটা যৌক্তিক। সুতরাং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।এর আগে গত ৪ জুন বিকেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৩ জুন সংশোধিত ফলাফলে আরও ১১৩ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়। 

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফল কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথমে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ফল পুনঃপরীক্ষা ও যাচাইয়ের পর সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।এরপরই ফলাফলে অসঙ্গতি ও বৈষম্যের অভিযোগে আন্দোলন শুরু করেন অকৃতকার্য হওয়া অনেক প্রার্থী।  তারা দাবি করেন, ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফল করার পরও অনেকে অনুত্তীর্ণ হয়েছেন। বিশেষ করে বোর্ড ভিত্তিক ফলাফলে ব্যাপক তারতম্যের অভিযোগ ওঠে। একাধিক বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে ১ থেকে ৩ জন পাস করেছেন। 

আরও পড়ুন

অন্যদিকে কিছু বোর্ডে ২৯ জনও পাস করেছেন- যা নিয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা ফলের স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।ফলাফল প্রকাশের পর আন্দোলনরত প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা কার্যালয়ে বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে এনটিআরসিএর প্রধান উপদেষ্টার সহকারী সচিব তাদের দাবি শোনেন এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের আশ্বাস দেন। তবে আন্দোলনকারীরা আশ্বস্ত না হয়ে ফলাফল পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে প্রায় ১৯ লাখ প্রার্থী আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ৮১ হাজার ২০৯ জন। চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৬৩৪ জনকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এগুলো পূরণে সব প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কাজে ফিরছেন শাবনূর

পশ্চিম তীরে দাঙ্গা, ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা

পাকিস্তান টেস্ট দলের দায়িত্বে আজহার মেহমুদ

বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ৪৫

শেষ হলো দি মারিয়ার ১৮ বছরের ইউরোপ অধ্যায়

নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল