নওগাঁর রাণীনগরে বছরের পর বছর দড়ি টেনে নদী পারাপার 

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী পারাপারের জন্য বছরের পর বছর ধরে দড়ি টেনে নৌকায় নদী পার হতে হয় এলাকাবাসীর। ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে নানা উন্নয়নমুখী প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় এই এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে একটি ব্রিজ তাদের কপালে জোটেনি। দুই ইউনিয়নবাসীর নানা ভোগান্তি নিয়ে বসবাস করে। রাষ্টের জরুরি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত মিরাট ও কাশিমপুর ইউনিয়নবাসী। স্বাধীনতার পর থেকে এই জনপদে বসবাসরত দুই ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় ২০ হাজার জনসাধারণের পারাপারের জন্য দড়ি টানা নৌকা একমাত্র ভরসা।

কাশিমপুর, কুজাইল, বরাজপাড়া, ত্রিমোহনী, মিরাট, হরিশপুর, আতাইকুলা, গোনা, কাশিমপুর, নওগাঁ সদরের শৈলগাছি এলাকার প্রায় হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে নিবিড় বন্ধন হিসেবে চলাচল করছে এই দড়ি টানা নৌকা। স্বাধীনতার ৫৩ বছর চললেও কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যুমনা নদীর ওপর দিয়ে পারাপারের জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণ অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এই এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় ১৩টি গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এই পথেই চলাচল করতে হচ্ছে।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে কাশিমপুর-মিরাট ইউনিয়ন। তার পাশদিয়ে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। প্রায় সাড়ে ৫ দশক ধরে এই নদীতে কোন প্রকার খনন কাজ হয়নি। যার ফলে দিনদিন এই নদীটি নাব্যতা সংকটের কারণে নদীর বুকে বিশেষ স্থানে চর জেগে উঠেছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি যখন ফুলে-ফেপে উঠে তখন পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় এই দড়ি টানা নৌকা। বর্তমানে নদীতে পানি কম থাকলেও পুরো বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি ফুলে ফেঁপে উঠলে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে নদী পারাপার হতে হয়। যানবাহন চলাচলের উপযোগী সরাসরি কোন পথ না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যসামগ্রী সহজভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই স্থানীয় ফড়িয়া ও মহাজনদের কাছে চলমান বাজারমূল্যের চেয়ে কমদামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়। কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যুমনা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি থাকলেও সরকারি পর্যায়ে উন্নয়নের অনেক প্রকল্প আসে প্রকল্প যায় কিন্তু এই এলাকাবাসির ভাগ্য উন্নয়নে কারো যেন মাথা ব্যাথা নাই। এই এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের দাবি উক্ত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে সকল ক্ষেত্রে জীবনমান উন্নয়ন হবে।

জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবলে বালকে রংপুর ও বালিকায় রাজশাহীর শিরোপা 

ফেনীতে  আওয়ামী লীগের ব্যানারে ঝটিকা মিছিল

জেলা প্রশাসক থেকে জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে অনুদান নেওয়ায় তদন্ত কমিটি

আতাইকুলা জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল উদ্দিন জানান, দশকের পর দশক ধরে কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় আমার স্কুলসহ পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে দড়ি টানা নৌকাতেই পারাপার হতে হয়।

রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, কুজাইল-আতাইকুলা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যুমনা নদীর ওপর জনস্বার্থে একটি ব্রিজ নিমার্ণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হলে ইতোমধ্যে ওখানে ব্রিজ নির্মাণের জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। অনুমোদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।