বগুড়ায় ছিনতাই মামলার আসামি গ্রেফতার, মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শাজাহানপুরে ছিনতাই ঘটনার আসামি আহম্মদ আলী(৩২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আদমদিঘী উপজেলার সান্তাহার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, এ নিয়ে এ পর্যন্ত এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার সুলতানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. শফিকুল ইসলাম (৩৪) ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও পেপসিকো বগুড়া শাখার প্লান্ট এইচআর, অ্যাডমিন ও সিকিউরিটি প্রধান হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলায় বসবাস করেন।

গত ২১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলযোগে অফিসে যাওয়ার পথে শহরতলীর চকোরগাড়ী ঈদগাহ সংলগ্ন অধাপাকা সড়কে পৌঁছিলে তিন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। তারা  ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে তার মানিব্যাগে থাকা সাড়ে ১২ হাজার টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়ের করার পর ওইদিন পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বগুড়া শহরের খান্দার পাসপোর্ট অফিস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই মামলার ১নং আসামি মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে কনককে (৩৫) গ্রেফতার করে।

খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে: নুসরাত ফারিয়া

ইসরায়েলকে শিগগির সংঘাত থামাতে বলল চীন

বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আনলেন মেহজাবীন

এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে ১৪ মে বগুড়া সদর উপজেলার মালগ্রাম এলাকা থেকে আরেক আসামি রমজান ব্যাপারীকে (২৭)  গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার আদমদীঘির  সান্তাহার এলাকা থেকে  অপর আসামি আহম্মদ আলী (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।

শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ছিনতাই মামলার তিন আসামিকেই গ্রেফতার এবং বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।