বগুড়ার শেরপুরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : তীব্র গরম আর তাবদাহ উপেক্ষা করে মালবাহী ট্রাক, বাস, মিনিবাসসহ যে যেভাবে পারছে সেভাবেই কর্মস্থলে ফিরছে। ঈদের ছুটি প্রায় শেষ, কর্মস্থলে ফেরার তাগাদা তাই জীবনের ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করছেনা মানুষ। যাত্রীর ঢল নেমেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ধুনটমোড় এলাকায়। আন্তঃজেলা কোচ কাউন্টারে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়।
আর এই সুযোগেই কতিপয় মানুষ যাত্রীদের নিকট থেকে ভাড়ার নামে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। তীব্র গরমে জনদুর্ভোগ বেড়েছে কয়েকগুণ। অতিরিক্ত ভাড়া থেকে বাঁচতে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই ট্রাকে করেই ফিরছেন। কর্মস্থলে ফেরা মানুষের এ চিত্র ঈদের আমেজের অবসান টানলেও, ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা ও ভোগান্তির কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
জানা গেছে, অতিরিক্ত গরমের কারনে যাত্রীদের জন্য যাত্রী ছাউনি ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেন যাত্রীরা গরম থেকে একটু হলেও রক্ষা পায়। প্রতিদিনের তুলনায় তিনগুণ যাত্রী উপস্থিত হয়েছেন সকাল থেকেই। বাড়তি বাস চালু করলেও চাহিদার তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল।
অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যে। ঢাকার গাবতলীতে যাবেন সাইফুল। তিনি সাংবাদিকদের জানান, দ্বিগুন দামেও ভাল মানের পরিবহনের টিকিট পাইনি, তাই বাধ্য হয়েই ৫শ টাকা দিয়ে লোকাল বাসে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনগামের্ন্টস কর্মী এরশাদ বলেন, অনেকবার ট্রাকে গেছি। এই গরমে ভেবেছিলাম কোচে যাবো, এখানে এসে দেখি কোন কোচের টিকিট নেই। এছাড়া লোকাল কোচ বা বাস যে হারে ভাড়া আদায় করছে তাতে আমাদের মত গরীব মানুষের জন্য অনেক কষ্টের। তাই এবারো ৩শ’ টাকায় ট্রাকে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, যে সকল গাড়ি নিয়মিত চলে সেগুলোর টিকিট আগেই নাকি বুকিং করে রেখেছে। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দিলেই সেই গাড়িতে মিলছে টিকিট। আবার লোকাল অনেক গাড়ি কাউন্টারে থাকলেও ভাড়া আদায়েও চলছে নৈরাজ্য। ৩শ’ টাকার ভাড়া ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস কোচ পরিবহন মালিক সমিতির শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সেলিম রেজা বলেন, বাড়তি যাত্রীচাপ ও যানজটের কারণে অনেক বাস সময় মতো ফিরতে পারছে না। তবে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট রমজান আলী বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন