বগুড়া শেরপুরে ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : শেরপুরের পল্লীতে ঈদের নামাজের সময়কে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডায় প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে জিলহজ নামের একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সাতানি ফুলজোড় গ্রামের সৈয়দ এস বি ভুলান আকতারের ছেলে জিলহজ¦ (৪৫), মৃত গোলাম শফির ছেলে আব্দুল আলিম (৪৯), তার ২ ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), খাইরুল ইসলাম (২০)।
এলাকাবাসি ও শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে ফুলজোড় ঈদগা মাঠের নামাজ সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও সাড়ে ৮ টা বাজার পরেও শুরু না হওযায় দ্রুত নামাজ পড়ার তাগিদ দেন আব্দুল আলিম। এ সময় মাঠের ক্যাশিয়ার জহুরুল ইসলামের লোকজনের সাথে আব্দুল আলিমের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তিতে দুপুর ১২টার দিকে সাতানি ফুলজোড় বাজারে একটি মুদি দোকানে আব্দুল আলিম বসে ছিল।
এমন সময় প্রতিপক্ষের শামিম, ইমরান, মেহেদীর নেতৃত্বে ১০/১২ জন তার উপর হামলা চালালে তার চিৎকারে চাচাতো ভাই জিলহজ ও ছেলে খাইরুল এগিয়ে এলে তাদেরকে এলোপাথারী মারপিট করায় তারা আহত হয় এবং জিলহজের মাথা ফেটে যায়। এ সময় এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যাবার পর তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে জিলহজের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেকে রেফার্ড করেন ডাক্তাররা।
আরও পড়ুনঅপরদিকে ওই দিন সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল আলিমের ছেলে রবিউল ইসলাম শামিমের বাড়ীর সামনে দিয়ে যাবার সময় তার উপর হামলা চালালে রবিউলের মাথা ফেটে যায়। এই ঘটনায় আব্দুল আলিম ১১ জনের নাম উল্লেখ করে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই শরাফত জামান বলেন, অভিযোগ তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পবার পর পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন