অনিশ্চয়তার মধ্যেও
বগুড়ায় এবার ৭০ থেকে ৭২ হাজার চামড়া কেনা হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার : অনিশ্চয়তার মধ্যেও এবার বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা ৭০ থেকে ৭২ হাজার গরুর চামড়া কেনা বেচা হতে পারে বলে মনে করছেন বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা। ঢাকার ট্যানারী ব্যবসায়ীদের কাছে ২২ কোটি টাকার বেশি বকেয়া থাকার পরও তারা ঝুঁকি নিয়ে চামড়া কিনছেন। চামড়া কেনার পর বিক্রি হলেও যথা সময়ে টাকা না পাওয়ায় হতাশ বগুড়ার ব্যবসায়ীরা।
চামড়া ট্যানারী মালিকদের কাছে বিক্রি করে সেই টাকা কবে পাবেন তারও নিশ্চয়তা পাচ্ছে না বগুড়ার ব্যবসায়ীর। বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা লগ্নি করে ব্যংক ঋণের বোঝা ভাড়ি করছেন বগুড়ার চামড়া ব্যবসাযীরা। বগুড়ার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, ট্যানারী মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হলে বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ী ঘুরে দাড়াতে পারবে।
সেই সাথে উত্তরাঞ্চলের কমপক্ষে দুটি ট্যানারী করা প্রয়োজন। যাতে বগুড়াসহ এই অঞ্চলের চামড়া প্রক্রিৃয়া করা যায়। এই ব্যবসায়ী জানান, ছাগলের চামড়া বেশি সময় রাখা যায়না। তাই কয়েক বছর ধরে ছাগলের চামড়ার প্রতি ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম।
বগুড়ার চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান করতোয়া’কে জানান, ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত চামড়া ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বগুড়ায় কাঁচা চামড়া ৮শ থেকে হাজার টাকার মধ্যে বেচা কেনা হতে পারে। আবার চামড়ার মান খারাপ হলে দাম আরও কম হতে পারে।
আরও পড়ুনচামড়া ব্যবসায়ীরা করতোয়া’কে জানান, লেবার খরচ, লবন খরচ দিয়ে একটি চামড়ায় ৩শ থেকে ৪শ টাকা খরচ পরে। লবনের দাম বাদ দিলে একটি চামড়া ৭ থেকে ৮শ টাকার বেশি দামে কেনা যাবে না। এদিকে চামড়ার স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী জানান, মৌসুমী ব্যবসায়ীদের জন্য চামড়ার বাজারে ধ্বস নামে।
তারা না বুঝে চামড়া কেনে। অনেক ক্ষেত্রে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা জোর করে চামড়া কম দামে কেনে। তারা যত কম দামে কেনে চামড়ার দাম আসলে তত কম না। ব্যবসায়ীরা বলেন সাধারণ মানের চামড়া ৭ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন কোরবানী দাতারা।
মন্তব্য করুন