ভারতে চামড়া পাচার ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা
_original_1749046943.jpg)
যশোরের বেনাপোলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে।
আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে চামড়ার বাজার মূল্য তুলনামূলক কম। অনেক সময় কেনা দামেও ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারেন না। সরকারি দামে ক্রয়-বিক্রয়ে সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন এ সময়টায় চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সে জন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ জানান, পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৫৫০ থেকে ৬০০ এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ছাগলের চামড়ার দাম প্রতি পিস ১০০ টাকা।
অপরদিকে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ মণ ওজনের গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ১০০০ রুপি এবং ১০ মণ ওজনের গরুর চামড়া প্রতি পিস ১২০০ রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বেনাপোলের যেসব সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা থাকে সেসব এলাকা বেশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেমন- গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী ও গোগা, কায়বা, অগ্রভুলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা এবং শাহজাতপুর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল লতিফা ইয়াসিন এতিম খানার শিক্ষক মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, ‘এলাকার মানুষ তাদেরকে কোরবানির পশুর চামড়া দান করে থাকেন। কিন্তু চামড়ার দাম এবার খুবই কম।’
লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, সীমান্ত দিয়ে ভারতে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি চেকপোস্টে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। যাতে কেউ ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে। ঈদ উপলক্ষে টহল ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা আমাদের সৈনিকরা তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের অপরাধ রুখতে বিজিবি সবসময় সীমান্তে সোচ্চার রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সতর্ক আদেশ বহাল থাকবে।
মন্তব্য করুন