সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কমা ও বাড়ার সময় শুরু হয় নদী ভাঙন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলের মানুষেরা ভাঙা গড়ার এই পৃথিবী আছে সর্বক্ষণ-গানের এই কলিকে বাস্তব হিসেবে মেনে নিয়ে জীবন ধারণ করে আসছেন। জানা যায়, প্রতি বছর যমুনা নদীর পানি কমা এবং বাড়ার সময় দেখা দেয় নদী ভাঙন। আর এই ভাঙনে ফসলি জমিসহ নিজের বসতভিটা হারিয়ে অনেকেই আজ নিস্ব। মাথা গোঁজার ঠাই করে নিয়েছে অন্যের জায়গায়।
জীবিকার জন্য দিনমজুরের কাজ করতে হয় কড়া রোদ ও ভারি বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জ, কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
আজ বুধবার (৪ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে পানির সমতল ১১.২২ মিটার গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৭৭ সেন্টিমিটার। কাজিপুর স্টেশনে পানির সমতল ১২.৮৯ মিটার গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৮৩ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১২.৯০ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুনসিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান জানান, তিনি আরও জানান, উজান থেকে নেমে আসা ও বর্ষণে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দেখা দিচ্ছে নদী ভাঙন। যমুনার তীর সংরক্ষণ ভাটপিয়ারি বাঁধের প্রায় ৪২ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে এখন মারাত্মক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়াও ভারি বর্ষণে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তাছাড়াও যমুনার তীর সংরক্ষণ ভাটপিয়ারি বাঁধের প্রায় ৪২ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। এ ভাঙনে ফসলি জমিসহ বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভাটপিয়ারি গ্রামের আব্দুল মজিদ (৭২), শফিকুল (৬৩), গৃহবধূ জাহানআরা (৫৫), জানায়, প্রতি বছর পানি বৃদ্ধি ও কমার সময় নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জ নদী সংরক্ষণ বাধ মোট ৮০ কিলোমিটার। বর্তমানে কোন ঝুঁকি নেই।
মন্তব্য করুন