ভারত হুমকি দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য কখনও অর্জন করতে পারবে না : পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। সোমবার (২ জুন) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব মন্তব্য তাদের ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক মানসিকতা’কেই প্রতিফলিত করে যা শান্তির চেয়ে বৈরিতাকে প্রাধান্য দেয়। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই প্রতিক্রিয়া এসেছে ভারতের নেতাদের ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক বক্তব্যের পর। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের ২৯ মে’র মন্তব্য। ওই মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা তখনই হবে যখন পাকিস্তান আমাদের কাছে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর হস্তান্তর করবে।’ এই মন্তব্যের জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শফকত আলী খান বলেন, ‘পাকিস্তানকে আঞ্চলিক অস্থিরতার উৎস হিসেবে তুলে ধরার যেকোনও চেষ্টা বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতের আগ্রাসী আচরণের রেকর্ড সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দলিলভিত্তিক সমর্থন। এই বাস্তবতাগুলোকে ফাঁপা কথাবার্তা বা দৃষ্টি ঘোরানোর কৌশলে আড়াল করা যাবে না।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কাশ্মীর ইস্যুটি এখনও একটি ‘মূল সমস্যা যা অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে’। পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাব ও কাশ্মীরি জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ‘ন্যায়সংগত ও স্থায়ী সমাধান’ নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে। শফকত আলী খান বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে, তা ‘অন্ধ জাতীয়তাবাদ ও বলপ্রয়োগের চূড়ান্ত ব্যর্থতা’কে তুলে ধরে। ভারত হুমকি দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য কখনও অর্জন করতে পারবে না।
আরও পড়ুনমুখপাত্র আরও বলেন, ‘পাকিস্তান শান্তি ও গঠনমূলক সংলাপের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে যে কোনও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমানভাবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলে প্রকৃত শান্তি নিশ্চিত করতে হলে ‘পরিপক্কতা, সংযম এবং সংঘাতের মূল কারণগুলো সমাধানের সদিচ্ছা’ প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন