উচ্ছ্বাসে ভরা গানে গানে সন্ধ্যা কাটলো তাদের
_original_1748786492.jpg)
অভি মঈনুদ্দীন ঃ প্রায় সময়ই তারা কোনো একটা উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে গল্প গানে আড্ডায় মেতে উঠেন তারা। তারা সবাই গানের মানুষ। কেউ গান করেন, কেউ গানকে ভালোবাসেন। এই গানের মানুষগুলো হলেন প্রয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার, গয়না বাকসো’র প্রতিষ্ঠাতা জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা, হাওর জিন্স’র প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রমিনুল হক সায়াদ, সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন, সঙ্গীতশিল্পী রাশেদ, ইয়াসমিন লাবণ্য, বাবুল হোসেইন, রাইসা জান্নাত খান, জোবায়ের জাহাঙ্গীর জয়, শারমিন কেয়া, মৌলি মজুমদার, তানজিন মিথিলা, অভিনেত্রী বন্নি হোসেন, উপস্থাপিকা রুহানী সালসাবিল’সহ আরো বেশ কয়েকজন।
গত ৩০ মে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও অভি মঈনুদ্দীনের উদ্যোগে এক গল্প গান আড্ডার আয়োজন করা হয়। এবারের আয়োজনের বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যও ছিলো। সন্ধ্যার পর শুরু হওয়া এই আয়োজনে এবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের নন্দিত অভিনেত্রী দীপা খন্দকার, যিনি এরইমধ্যে অভিনয় জীবনে তার পথচলার ২৫ বছর পার করেছেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য ঘোষিত ‘চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ ২০২৩’-এর ‘সেরাদের সেরা’ (চুড়ান্ত ফলাফলে উপমহাদেশের কিংবদন্তী গায়িকা রুনা লায়লার কন্ঠে প্রথম ঘোষিত নাম) নারায়ণগঞ্জের মেয়ে সাবরিনা নওশিন টুশি’র হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। দীপা খন্দকার, প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার, জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা’সহ আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তারা টুশির হাতে সম্মাননা তুলে দেন। ‘সেরাদের সেরা’ হওয়াতেই টুশির হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। এরপর সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন লাবণ্য’র জন্মদিনের কেক কাটা হয়। যেহেতু আগামী ৬ জুন তার জন্মদিন। তাই হাওর জিন্সের পক্ষ থেকে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লাবণ্য’র অগ্রীম জন্মদিন উপদযাপন করা হয়। একই আয়োজনে ডাঃ তারেক আলমেরও (দন্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার) জন্মদিনের কেক কেটে উদযাপন করা হয়। যিনি এই গ্রুপের একজন শুভাকাঙ্খী। সেদিনই ছিলো ডাঃ তারেক আলমের জন্মদিন। আয়োজনে সন্ধ্যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ান বাবুল, জয়, মিথিলা, রাশেদ, লাবণ্য, রাইসা, কেয়া ও টুশি।
দীপা খন্দকার বলেন,‘ এমন চমৎকার আয়োজনের অংশ হতে পেরে ভীষণ ভালোলাগলো। আগামীতে এমন আয়োজনের অংশ হবার প্রবল ইচ্ছে আমার। ধন্যবাদ অভিকে।’ টুশি তার মাকে পাশে রেখে বলেন,‘ সেরাদের সেরা হওয়ার পর এই সম্মাননাপ্রাপ্তি আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ অভি মঈনুদ্দীন ভাইয়ের কাছে। তিনি আমার একজন অভিভাবকও বটে।’ গানে গানে এই আয়োজনকে সফল করে তুলতে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে টানা প্রায় পাঁচ ঘন্টা তবলা বাজিয়ে অপূর্ব ও গীটার বাজিয়ে রাজীব ঘোষ মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। সেইসাথে হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিজের গানের পাশাপাশি অন্যান্য শিল্পীদের গান গাওয়ায় সহযোগিতা করেছেন বাবুল। আগামী জুলাই অথবা আগস্টে এই গ্রুপেরই আয়োজনে এক বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।
আরও পড়ুনঅভি মঈনুদ্দীন বলেন,‘ প্রদ্যুৎ দাদার প্রতি ও তৃষা বৌদির প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা। কারণ তাদের কারণেই এতো সুন্দর আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।
মন্তব্য করুন