ভিডিও রবিবার, ০১ জুন ২০২৫

বগুড়ায় ইয়াবাসহ তিন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য গ্রেফতার

বগুড়ায় ইয়াবাসহ তিন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৮৫০ পিচ ইয়াবাসহ তিন পুলিশ ও একজন আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলো, বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমিতে কর্মরত ব্যাটালিয়ান আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২)।

গ্রেফতারকৃত এই চারজনকে আজ শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জানতে পারে শহরের সাতমাথা এলাকায় একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে তিন ব্যক্তি ইয়াবা বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছে।

সংবাদ পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে পৌছিলে সন্দেহভাজন তিনজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাদেরকে আটক করে আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের হাতে থাকা লাল রং এর ব্যাগে সাতশ’ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান পুলিশকে জানায় কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন এবং আব্দুল ওয়াহাব ইয়াবা বিক্রি করে বিকাশে টাকা গ্রহণ করেছেন।

পরে কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নাম্বার চেক করে দেখতে পান ২৭ হাজার টাকার রয়েছে। তারা গোয়েন্দা পুলিশকে আরো জানান বগুড়ায় কর্মরত পুলিশের নায়েক আব্দুল আলীম তাদের কাছ থেকে কিছুক্ষণ আগে ১৫০ পিস ইয়াবা কিনে নিয়ে গেছেন। পরে তাকে শহরের নবাববাড়ি সড়কে পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন

তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। আটক চারজনের মধ্যে নায়েক আব্দুল আলীমকে তাৎক্ষণিক বগুড়া পুলিশ লাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং অপর তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের মাটিডালী এলাকায় ডিউটিরত থাকাকালে গোয়েন্দা পুলিশ নায়েক আব্দুল আলীমক আটক করে। পরে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে চারজনের নামে বগুড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা করতোয়া’কে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে,কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল ওয়াহাব এবংআনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা এবং সারিয়াকান্দি উপজেলায়। নায়েক আব্দুল আলীমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাসভবনে ডিউটি করতেন, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গভবনে ডিউটি করতেন।

অপর দুইজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তারা একে অপরের সাথে পূর্ব পরিচিত এবং ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। পাঁচ আগস্টের পর চারজন চার জেলায় বদলী হলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং তারা মাদক ব্যবসা করতেন। পুলিশ সুপার আরো বলেন, তাদের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। তাদেরকে গ্রেফতার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

জয়পুুরহাটের বাগজানায় দুই হাজার পিস ইঞ্জেকশনসহ আটক ১

এনসিপি যদি চায় ডিক্লেয়ার দিয়ে আসুক, জাতীয় পার্টি প্রস্তুত - জাপা নেতা মোস্তফা

বগুড়ার সোনাতলায় বর্ষালি মরিচ চাষে ঝুঁকেছেন কৃষক

ভোর রাতে কোরবানির তিনটি গরু চুরি

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এডহক কমিটি গঠন