ভিডিও বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

‘নজরুল পদক ২০২৫’এ ভূষিত ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান

‘নজরুল পদক ২০২৫’এ ভূষিত ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান

অভি মঈনুদ্দীন ঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত । যা ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহের একটি উপশহর ত্রিশালের নামাপাড়া-বটতলায় অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘নজরুল পদক ২০২৫’এ ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান।

গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেই নজরুল সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খানের হাতে ‘নজরুল পদক ২০২৫’ তুলে দেয়া হয়। ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদানের পাশাপাশি ৪৫ হাজার টাকাও সম্মানী হিসেবে প্রদান করা হয়।

এই সম্মাননায় ভূষিত হয়ে ওস্তাদ ইয়াকুল আলী খান বলেন,‘ ঢাকার বাইরে সাধারনত কোনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আমার খুব বেশি একটা যাওয়া হয়নি। তবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত নজরুল পদক ২০২৫ প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমার ভীষণ ভালোলেগেছে। তাদের সার্বিক আয়োজন আমাকে মুগ্ধ করেছে। এতো চমৎকার, পরিপাটি আর গুছানো অনুষ্ঠান আমি খুব কমই দেখেছি। আমার প্রতি সবার শ্রদ্ধা ভালোবাসা দেখেও আবেগাপ্লুত হয়েছি আমি। বিশেষত আমার আরো ভালোলেগেছে আমার একমাত্র মেয়ে প্রাপ্তির স্বামীর মুগ্ধতা দেখে। কারণ পেশায় প্রাপ্তির স্বামী ডাক্তার। আমাদের এমন আয়োজনে তার কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠেনি। চমৎকার আয়োজন দেখে সে মুগ্ধ হয়েছে। যাই হোক যারা আমাকে নজরুল পদক ২০২৫’এর জন্য নির্বাচিত করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। একজন নজরুল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়েই নজরুল পদক প্রাপ্তির বিষয়টি আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের এবং গর্বেরও বটে। সবার দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাকে সুস্থ রাখেন ভালো রাখেন। আর একটি কথা না বললেই নয়, আমরা শুধু আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেই যেন থেমে না যাই, তার জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যেতে হবে। ’

আরও পড়ুন

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইউসুফ আহমেদ খান ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খানেরই সন্তান। ইউসুফের ছোট ভাই ইমতিয়াজও চমৎকার গান গেয়ে থাকেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ আয়োজিত ‘আশরাফ স্মৃতি স্বর্ণপদক’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারা দেশের নজরুলসংগীতশিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেন, কারণ এটি ছিল মূলত নজরুলসংগীত শিল্পীদের নিয়ে একটি বড় প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় ওস্তাদ ইয়াকুব আলী খান প্রথম স্থান অর্জন করেন। আর এরপর থেকে যেন নজরুলসংগীতের প্রতি তার আবেগ, ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। নজরুলসংগীতে তখন তিনি আরো অধ্যবসায়ী হয়ে উঠলেন। কালের পরিক্রমায় তিনি হয়ে উঠলেন এই দেশের একজন বরেণ্য নজরুলসংগীতশিল্পী। ২০০০ সালে চট্টগ্রাম মুসলিম হলে উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মেলনে দেশ-বিদেশের অনেক ওস্তাদের সামনে অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে তাকে ‘ওস্তাদ’ উপাধিতে আখ্যায়িত করা হয়।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পাকিস্তানের কাছে হারলো বাংলাদেশ দল

বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিলো পাকিস্তান

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শত বছরের কবরস্থান রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

দেশে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ভারতীয় ড্রোন!