ভিডিও রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সহজে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে : বগুড়ায় ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সহজে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে : বগুড়ায় ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা। ছবি : আসাফ-উদ-দৌলা ডিউক

স্টাফ রিপোর্টার : ম্যানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন বর্তমানে কেবল কোনো একটি দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, বরং এটি একটি বিশ্বমাত্রিক সমস্যা। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি যে গতিতে প্রসারিত হচ্ছে, তার সাথে সমহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের আর্থিক অপরাধ এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ও লেনদেনের মাত্রা।

আজ শনিবার (২৪ মে) বগুড়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়ন প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’র  (বিএফআইইউ) পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। এদিন সকালে বগুড়া সদরের মম ইন কনভেনশন সেন্টারে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র আয়োজনে ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’র (বিএফআইইউ) সহযোগিতায় সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি’র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা ইকবাল পারভেজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারটি পরিচালনা করেন বিএফআইইউ’র রিসোর্স পার্সন অতিরিক্ত পরিচালক ড. রায়হানুল ইসলাম, যুগ্ম পারিচালক সৈকত কুমার সরকার এবং উপ-পরিচালক সুদ্দীপ্ত ঘোষ।

সেমিনারে রিসোর্স পার্সনদের বক্তব্যে আরও উঠে এসেছে, বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে কমলেও তা এখনও ৯ শতাংশের বেশি। সরকার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বাজারে মুদ্রা সরবরাহের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সহজে ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আনার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এজন্য বৈদেশিক মুদ্রা পাচার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

পাচারকৃত অর্থের বেশিরভাগই পাচার হয় বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে। আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং, রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং, পণ্য আমদানি না করেই মূল্য পরিশোধ ইত্যাদির মাধ্যমে এটা সংঘটিত হয়ে থাকে। এছাড়াও হুন্ডি বা হাওয়ালা, ক্যাশ কুরিয়ার বা বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের মাধ্যমেও পাচার সংঘটিত হয়। স্বল্পোন্নত দেশসমূহের কৌশলগত দুর্বলতা এবং উদার অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে লন্ডারিংকৃত অর্থ সহজেই বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে ঢুকে পড়ে।

আবার খুব সহজে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে এসব অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যায়। এসব অবৈধ অর্থ দেশের অর্থতৈতিক উন্নয়নে কোনরূপ ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে না। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে দেশে বর্তমানে আইনী কাঠামো আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে এবং উক্ত সংস্কার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কর্মশালায় বগুড়া জেলায় কর্মরত ৪৭টি ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের ৮১জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনকারীর ৫ লাখ টাকা জরিমানা

‘বিয়ে নয়, আমি মা হতে চাইঃ শ্রুতি হাসান

ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের সব কার্যক্রম স্থগিত, অনিশ্চিত টুর্নামেন্ট

পাবনার চাটমোহরে পাট আবাদে ফিরেছে চাষিরা

মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামে মাসব্যাপি ’উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ