গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ফ্ল্যাগশিপ স্টোর স্থাপন করেছে ভিভো
_original_1747580127.jpg)
উদ্ভাবন ও গ্রাহকসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভিভো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। প্রযুক্তিপণ্যের বাজারে গ্রাহকদের প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষাদান, ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স এবং গ্রাহকসেবার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে দেশে একাধিক ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করেছে ভিভো। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত এই ফ্ল্যাগশিপ স্টোরগুলো শুধুমাত্র পণ্য বিক্রয়ের কেন্দ্র নয়, বরং নতুন প্রযুক্তি এক্সপ্লোর, ব্যবহার এবং শেখার একটি নলেজ হাবও বটে। সেই সাথে থাকা স্টোরের আধুনিক সার্ভিস সেন্টারগুলোর উন্নত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে গ্রাহকরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিতে পারে, যা ছোট পরিসরের সেন্টারগুলোর জন্য কষ্টসাধ্য। এসব স্টোরের মাধ্যমে ভিভো গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ, উন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা এবং বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে ইতোমধ্যেই দেশেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে ভিভোর।
ভিভো বাংলাদেশ মনে করে, কিছু ব্যবসায়ীর উদ্বেগ মূলত তথ্যের অভাবে বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে তৈরি হয়ে থাকতে পারে। ভিভো তা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ অনুসন্ধান এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবে। কারণ ভিভো কখনোই প্রতিযোগিতা বা কারো ব্যবসায় হস্তক্ষেপ করে না, বরং স্থানীয় জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানে বিশ্বাসী এবং সেই লক্ষ্যেই অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই সবার কাছে সহজলভ্য ও বিশ্বমানের গ্রাহকসেবা পৌঁছে দেওয়াই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
জেনে নেওয়া যাক, কি হয় ভিভোর ফ্ল্যাগশিপ স্টোরগুলোতে। ফ্ল্যাগশিপ স্টোরের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষের সম্পৃক্ততা তৈরি করা - মানুষকে ভিভোর প্রযুক্তিগুলো দেখানো, তারা যেন সেগুলোর অভিজ্ঞতা নিতে পারে। এখানে গ্লোবালি উদ্ভাবিত কিছু জটিল প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হয়, যার মাধ্যমে ক্রেতারা ভিভোর নতুন ও পুরোনো প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। ভিভোর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণারও সুযোগ থাকে এখানে - মানুষ যেন বুঝতে পারে ভিভো কোন দিকে এগোচ্ছে। তারা চাইলে সেবা নিতে পারেন এবং পছন্দ হলে প্রোডাক্ট কিনতেও পারেন।
পাশাপাশি এটি গ্রাহকদের জন্য সরাসরি একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা পাওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এখান থেকে প্রাপ্ত ফিডব্যাক বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে নতুন ডিভাইসে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের প্ল্যান তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা আরও গভীরভাবে বোঝা সম্ভব হয় এবং তাদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, এখানে গ্রাহকরা হাতে-কলমে পণ্য পরীক্ষা করতে পারেন, নিজেদের মতামত জানাতে পারেন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত হতে পারেন। আর ভিভো সেই ফিডব্যাক থেকে পণ্য ও সেবার মান আরও উন্নত করতে পারে। ভিভো সবসময় আইনি কাঠামো ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অংশীদারিত্ব পরিচালনা করে। সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা থেকেই এই ফ্ল্যাগশিপ হাবের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিভো বিশ্বাস করে, সুস্থ প্রতিযোগিতাই একটি প্রযুক্তিনির্ভর ও উদ্ভাবনী বাজারের ভিত্তি গড়ে তোলে। তাই তরুণ উদ্যোক্তাদের বিকাশ এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান। তারা নিশ্চিত করতে চায়, ভিভোর কোনো উদ্যোগে কারও অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং সব পক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার মনোভাবেই তারা যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারে। ভিভো ভবিষ্যতেও দেশের সব জায়গায় প্রযুক্তি ও সমাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে একটি ইতিবাচক পরিবেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে।
আরও পড়ুনভিভো প্রসঙ্গে
ভিভো একটি প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান যা মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে স্মার্ট ডিভাইস ও ইন্টেলিজেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করে। মানুষ আর ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। অনন্য সৃজনশীলতার মাধ্যমে ভিভো ব্যবহারকারীদের হাতে যথোপযুক্ত স্মার্টফোন ও ডিজিটাল আনুষাঙ্গিক তুলে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধকে অনুসরণ করে ভিভো টেকসই উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়ন করেছে; সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হওয়াই যার ভিশন।
স্থানীয় মেধাবী কর্মীদের নিয়োগ ও উন্নয়নের মাধ্যমে শেনজেন, ডনগান, নানজিং, বেজিং, হংঝু, সাংহাই, জিয়ান, তাইপে, টোকিও এবং সান ডিয়াগো এই ১০টি গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে (আরএন্ডডি) কাজ করছে ভিভো। যা স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট কনজ্যুমার টেকনোলজির উন্নয়ন, ফাইভজি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন, ফটোগ্রাফি এবং আসন্ন প্রযুক্তির ওপর কাজ করে যাচ্ছে। চীন, দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভিভোর পাঁচটি প্রোডাকশন হাব আছে (ব্র্যান্ড অথোরাইজড ম্যানুফ্যাকচারিং সেন্টারসহ) যেখানে বছরে প্রায় ২০০ মিলিয়ন স্মার্টফোন বানানোর সামর্থ্য আছে। এখন পর্যন্ত ৬০টিরও বেশি দেশে বিক্রয়ের নেটওয়ার্ক আছে ভিভোর এবং বিশ্বজুড়ে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ভিভো স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
মন্তব্য করুন