ভিডিও সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

বংশগত কারণেও ডিপ্রেশন হয় 

ছবি : সংগৃহিত,বংশগত কারণেও কারণে ডিপ্রেশন হয় 

লাইফস্টাইল ডেস্ক : যে কেউ ডিপ্রেশনের কবলে পড়তে পারে। ডিপ্রেশন হয় বংশগত কারণেও। তবে সবার ডিপ্রেশনের কারণ এক নয়। মানুষের জীবনযাত্রা যেমন আলাদা ঠিক তেমনই ডিপ্রেশনও আলাদা।

 
১. অপমান বোধ: যদি কোন ব্যক্তি অন্য একজনের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অপমানিত হয় তাহলে যখন তার মনের মধ্যে চরম আঘাত লাগবে তখন সে ডিপ্রেশন এ ভুগবে। এটা দেখা দেয় যারা একটু লাজুক ধরনের মানুষ, যাদের আত্মমর্যাদাটা অন্যের কথার উপরে নির্ভর করে, নিজেকে সব সময় অন্য সবার থেকে কম ভাবে, যারা নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে তাদের ডিপ্রেশন এ ভোগার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।

২. একাকিত্ব: কোন মানুষ যদি অনেক লোকজন পছন্দ করে, কোলাহল পছন্দ করে, কিন্তু কোন কারণে সে যদি পরে একাকী জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় কিংবা অন্য কারো কথায় আঘাত পেয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয় সে তখন নিজেকে অসহায় বোধ করে এবং একাকিত্বের যন্ত্রণা তার মনে অসহ্য হয়ে কাটার মতো বিঁধতে থাকে আর পরবর্তীতে সেটাই ডিপ্রেশন এ পরিণত হয়। কিংবা যারা দিনের পর দিন একা থাকে বিশেষ কারো সঙ্গে মেশে না তারা ও অনেক সময় নিজেকে পৃথিবীর মধ্যে অসহায় ব্যক্তি মনে করে ডিপ্রেশনে ভোগে।

 
৩. বংশগত কারণ: কিছু কিছু পরিবারে এমন অনেক ব্যক্তি থাকেন যারা তাদের বংশের বোঝা বয়ে ডিপ্রেশন এর শিকার হন। এদের সব বিষয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। একটা সহজ সরল কথাও সহজ ভাবে না ভেবে জটিল আকার তৈরি করে, ফলে নার্ভে সব সময় চাপ সৃষ্টি হয়। এভাবে চলতে চলতে একটা সময়ের পরে মনে ডিপ্রেশন বাসা বাঁধে। এমন অনেক পরিবারই আছে যাদের বংশে একজন না একজন ডিপ্রেশনের শিকার হয়।

আরও পড়ুন

৪. বর্তমান জীবনে কোন বড় পরিবর্তন এলে: মানুষের জীবন সব সময় এক নিয়মে চলে না।চলতি পথে এমন অনেক সময় আসে যেই সময় টা পুরো জীবনেরই মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই সময়ে যারা নিজেকে সামলাতে জানে তারা অনেক দৃঢ় এগিয়ে যায় কিন্তু যারা এই ধাক্কা সামলাতে না পারে তারা ডিপ্রেশন এ চলে যায়। ধরুন কেউ একজন  কোন বড় অফিসে চাকরি করে কোন একটি কারণে তার চাকরিটা চলে গেল। এই সময় তার আগের জীবন যাত্রায়  পরিবর্তন আসবে, তার পরিবারের বিলাসিতা বন্ধ হবে, তার চলার ধরন পাল্টে যাবে, ফলে এই সময় সে যদি নিজেকে শক্ত করে না ধরে থাকতে পারে তাহলে তার মনে ডিপ্রেশন আসাটা কেবল সময়ের অপেক্ষা। তাই জীবনে হঠাৎ যদি কোন বড় পরিবর্তন আসে তাহলে তাকে মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়-
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্বপ্রথম এর চিকিৎসার প্রয়োজন। এবং সঙ্গে আরও বেশি করে প্রয়োজন কাছের কোনো মানুষের। যে তাকে খুব ভালো করে বোঝে, জানে, এবং মনের যত্ন নিতে পারবে এমন কোন প্রিয় মানুষ তাকে একটু সঙ্গ দিলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া খুব সহজ হয়ে উঠবে। এছাড়াও মেডিসিন, দেহের ওজন বাড়তে দেবেন না, পুষ্টিকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।


মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়াটা কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হলো মানসিক অবসাদের কবলে পড়া। যখন মানুষ নিজেকে নিয়ে নিজে খুশি না হয়, নিজের খুশির ভার তুলে দেয় অন্যের হাতে,নিজের ভালো থাকাটা নির্ভর করে অন্যের উপরে তখনই মানুষ ডিপ্রেশন এ ভোগে।
 
কারণ আপনি তো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আপনাকে কেউ কম ভালোবাসলে আপনি কষ্ট পান, আপনাকে কেউ দেখতে খারাপ বললে আপনি দুঃখ পান, কেউ আপনার থেকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে গেলে আপনার নিজেকে অপরাধী মনে হয়, তার মানে আপনার হাতে কিছু নেই আপনি জীবন নির্ভর করেন অন্যের ইচ্ছা অনুসারে তাহলে আপনাকে একবার নয় বারবার ডিপ্রেশন এ ভুগতে হবে। তাই ডিপ্রেশন এর হাত থেকে রেহাই পেতে চাইলে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করুন। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিভাইসে ট্রান্সফরমার ও খাঁচাবন্দি মিটার, তবুও থামছে না চুরি

নৃত্য ও সুস্থতা : আত্মার আরাধনায় শরীর ও মন

কুড়িগ্রামের উলিপুরে বখাটের দায়ের কোপে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী

আমার নূপুরের ধ্বনি, ছড়াক মানবতার বাণী

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বিদ্যুৎ শক দিয়ে মাছ ধরার যন্ত্রপাতিসহ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে স্পেন-ফ্রান্স-পর্তুগাল