বগুড়ার সোনাতলায় মাঠের ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক : ভালো দাম পেয়ে খুশি

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলার কৃষকেরা মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে হাটে বাজারে নতুন ধান বেচা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিমন ধান ১১শ’ টাকা থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সোনাতলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার ১১শ’ ২০ হেক্টর বেশি জমিতে কৃষক ধান রোপন করেছে।
ইতিমধ্যেই রোপনকৃত ধান কাটা শুরু হয়েছে। জনপ্রতি ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা দিন মজুরি চুক্তিতে ধান কাটতে দেখা গেছে। প্রতি বছরের মত এ বছর শ্রমিক সংকট রয়েছে। কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় কৃষক হারভেস্টারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। হারভেস্টার দিয়ে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটতে কৃষককে দিতে হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২১শ’ টাকা।
উপজেলার জন্তিয়ারপাড়া, সরলিয়া, ভিকনেরপাড়া, মির্জাপুর, আমতলী, হুয়াকুয়া, আচারেরপাড়া, ছাতিয়ানতলা, মধুপুর, হরিখালী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় কৃষক মাঠের ধান ঘরে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ দিকে গতকাল শুক্রবার করমজা, তেকানীচুকাইনগর, পাকুল্লা, হরিখালী, বালুয়াহাট ও সোনাতলা বন্দরে নতুন ধানের প্রচুর আমদানি দেখা গেছে। প্রতিমন ধান ১১শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
আরও পড়ুনএদিকে কৃষি শ্রমিক সংকটের বিষয়ে মুশোরপাড়া এলাকার কৃষক শামছুল হক বলেন, রোপনকৃত আমন ধান ঘরে তুলতে শ্রমিক খুঁজে পাচ্ছি না। দুই একজন পাওয়া গেলেও তারা দৈনিক হাজিরা বেশি চাচ্ছে। জন্তিয়ারপাড়া এলাকার এনামুল হক বলেন, এবার তিনি ৯ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করেছেন। প্রতিবিঘা জমির ধান দুই হাজার টাকা করে হারভেস্টার দিয়ে কেটে নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, সোনাতলায় কৃষকেরা আগাম ধান কাটতে শুরু করেছেন। ঝড়-বৃষ্টির আশংকায় পাকা ধান জমিতে না রাখতে কৃষকদের পরামর্শ ও মাইকিং করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন