এনসিপি’র তৃতীয় সাধারণ সভা সম্পর্কে যা জানা গেলো

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় সাংগঠনিক কাজের স্বার্থে ৬৪টি জেলাকে ১৯টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বাংলামোটরে পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সাধারণ সভায় এমন প্রস্তাবনা আসে।
একই সভায় কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলা কমিটি সর্বনিম্ন ৩১ সদস্য থেকে সর্বোচ্চ ৫১ এবং উপজেলা কমিটি সর্বনিম্ন ২১ সদস্য থেকে সর্বোচ্চ ৪১ সদস্য নিয়ে গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। উভয় কমিটির আহ্বায়কের ক্ষেত্রে বয়স সর্বনিম্ন ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।দলটির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে চলতি সপ্তাহে ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে। এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সঞ্চালনায় সভার আলোচ্য বিষয় ছিল– এনসিপি’র অঞ্চলভিত্তিক সাংগঠনিক নীতিমালা নির্ধারণ, সংস্কার বিষয়ক প্রস্তাবনা প্রণয়ন, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি নির্ধারণ, সীমান্ত হত্যা বন্ধে কার্যকর পলিসি গ্রহণে সরকারকে দাবি জানানো, গাজায় ইসরায়েলি সহিংসতা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে জনমনে স্বস্তি আনতে সরকারকে জোর দাবি জানানো।
এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক খায়রুল কবিরের মায়ের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিক শোক প্রকাশের মাধ্যমে সভাটি শুরু হয়। এতে সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রস্তাব করেন মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।এছাড়াও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও জনপরিসরে এনসিপি’র কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি সাংগঠনিক ‘শৃঙ্খলা ও তদন্ত কমিটি’ গঠন হয়। রবিবার (২০ এপ্রিল) ওই কমিটি ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এনসিপি’র যুগ্ম-সদস্য সচিব (দফতর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তৃতীয় সাধারণ সভা ও গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন