ভিডিও শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

মৌসুমের চেয়েও দাম কম

জয়পুরহাটে আলুর ভালো ফলন সত্ত্বেও কৃষকের হাসি বিষাদে রূপ নিলো

জয়পুরহাটে আলুর ভালো ফলন সত্ত্বেও কৃষকের হাসি বিষাদে রূপ নিলো। ছবি : দৈনিক করতোয়া

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : এবার শুরু থেকেই বাজারে আলুর দাম কম। বিক্রি করলেই লোকশান গুনতে হচ্ছে। আবার হিমাগারে সংরক্ষণ করতে গেলে নেই বুকিং স্লিপ। দাম বাড়ার আশায় বাড়ি-ঘরে, বারান্দাসহ আশপাশের বাঁশঝাড়ে আলু রেখে এখন বড় বিপদে পড়েছি। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট হাটে কথাগুলো বলছিলেন নুনুজ গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিনের গরমে আলু পঁচে যাচ্ছে। আগের চেয়ে এখন আরও দাম কমে গেছে । তাই আলু ভালো ফলন সত্ত্বেও এবার আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে। রবিউল জানান, গত বছরের জমানো ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবার এক একর জমিতে আলু চাষ করেছেন। আলু উৎপাদনে প্রতিকেজিতে ২১-২২ টাকা খরচ হলেও বর্তমানে ৮-৯ টাকা কেজি দরে সেই আলু বাজারে কেনাবেচা হচ্ছে।

লোকশানের ভয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করতে গিয়ে জায়গা সংকট থাকায় তাও করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে তার উৎপাদিত প্রায় ৩’শ মণ আলু বাড়িতে রেখেছেন। গত কয়েকদিনের প্রচন্ড গরমে প্রায় ৫০ মণ আলু পঁচে গেছে। এখন আলুর বাজারে আরও ধস নেমেছে। এ অবস্থায় আলু বিক্রি করলে অর্ধেকেরও বেশি লোকসান গুনতে হবে।

স্থানীয় ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার জয়পুরহাটে ৪০ হাজার হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে চাষ হয়েছে ৪৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ মে.টন আলু। উৎপাদিত আলুর গড়ে ২২-২৩ শতাংশ জয়পুরহাটের ১৯টি হিমাগারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে সংরক্ষণ হয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সংরক্ষণের অধিকাংশ আলুই ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুন

এবার সময়মত অগ্রিম বুকিং দিতে না পারায় চাষীরা হিমাগারে আলু রাখতে পারেননি। আবার দাম কম হওয়ায় বিক্রিও করেননি। ফলে তাদের উৎপাদিত আলু বাড়ি-ঘরসহ আশপাশে বাঁশ ঝাড়ে ঠান্ডা জায়গায় মাটিতেই স্তূপ করে রেখেছেন। কিন্তু কয়েকদিনের গরমে আলুর পচন ধরেছে।

কালাই, পাঁচবিবি, ক্ষেতলালসহ জেলার অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষকদেরই এবার একই অবস্থা। মৌসুমে যে দাম ছিল, হিমাগার চালু হওয়ার পর এখন দাম আরও কমে গেছে। পুনট হিমাগারের ব্যবস্থাপক বিপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ আলুর অভাবে জেলার অধিকাংশ হিমাগারগুলো ধারণ ক্ষমতার অনেকটাই ফাঁকা নিয়ে চলে আসছিল।

এবারের চিত্র পুরোটাই উল্টো। যার যে পরিমান ধারন ক্ষমতা, এবার সে পরিমানই সংরক্ষণ হয়েছে। অধিক সংরক্ষণ করলে আবার আলু নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন, এবার ফলন বেশি, তাছাড়া বাজারে দাম কম হওয়ায় কৃষকরা বেশি পরিমান আলু সংরক্ষণ করতে আগ্রহী। অনেকে হিমাগারের স্লিপ না পাওয়ায় বাড়িতে রেখেছে। কাঁচা মাল, গরমে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল বরিশালের আমড়া

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ভারতের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামল পাকিস্তানের হিন্দু সম্প্রদায়

শ্রমিকদলের আয়োজিত সমাবেশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অংশগ্রহণ