ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫

ফজলুল হকের নির্দেশনায় এবার হাতির গল্পে নিলয় আলমগীর

ফজলুল হকের নির্দেশনায় এবার হাতির গল্পে নিলয় আলমগীর

অভি মঈনুদ্দীন ঃ সময়ের জনপ্রিয় ও ব্যস্ত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। নিলয় আলমগীর সম্পর্কে যারা জানেন এবং নিলয় আলমগীরের নাটকের যারা ভীষণ ভক্ত তারা অবগত আছেন যে পশুদের প্রতি রয়েছে তার পরম ভালোবাসা। রাস্তার কুকুর, বিড়ালের প্রতি রয়েছে তার ভীষণ ভালোবাসা। কিছুদিন আগেও সেন্টমার্টিনের কুকুর (পর্যটক না যাবার কারণে) কী খাবে তার একটি প্রচারণা চালিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তাদের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলেন। আবার নিলয় নিজ উদ্যোগেও কুকুর বিড়ালের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকেন।

নিলয় আলমগীর এর আগে পশু নিয়ে নাটকও করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি বন্যপ্রাণী হাতিকে নিয়ে একটি নাটকে অভিনয় করলেন। নাটকের নাম ‘নিহারকলি’। নাটকটি রচনা করেছেন সেজান নূর। নাটকটি নির্মাণ করেছেন ফজলুল হক। এর আগে ফজলুল হকের নির্দেশনায় নিলয় ‘ছেলেটি সত্যি এসেছিলো’,‘ তোমাকে চায়’,‘ এক টিকেটে দুটি ছবি’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ফজলুল হকের নির্দেশনায় নাটকে অভিনয় করলেন নিলয়। নাটকে নিলয় আলমগীরের সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন বাবা চরিত্রে লুৎফর রহমান জর্জ ও স্ত্রী’র চরিত্রে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। ফজলুল হক নির্মিত পাঁচটি ধারাবাহিক’সহ প্রায় শত নাটক এরইমধ্যে প্রচারিত হয়েছে। তবে এবার ‘নিহারকলি’ নাটকটি ছিলো তার জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। এরইমধ্যে রাজধানীর পূবাইলে একটির শূটিং হাউজ ও তার আশে পাশের এলাকায় নাটকটির দৃশ্য ধারনের কাজ শেষ হয়েছে।

নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে নিলয় আলমগীর বলেন,‘ হাতি নিয়ে কাজ করার আমার অনেকদিনের স্বপ্ন। ঠিক তেমনি পরিচালকেরও। হাতি নিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। কারণ হাতিকে মেইনটেইন করা, আমাদের আবেগের সঙ্গে তার আবেগ রিলেট করে কাজ করা খুউব কঠিন। কিছুদিন আগে একটি হাতি নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় হাতিটিকে রক্ষা করেন এবং নিরাপদে নিয়ে তাকে যত্নে রাখেন। সেই আদলেরই একটি গল্প নিয়ে নিহারকলি নাটকটি নির্মিত হয়েছে। যেহেতু হাতি পোষ মানেনা, তাই তাকে নিয়ে কাজ করা খুব কঠিন ছিলো। আমি মাহুত চরিত্রে অভিনয় করেছি। মাহুত তাকেই বলা হয় যিনি একজন হস্তী চালক বা প্রশিক্ষক বা রক্ষক। তো এই হাতির বয়স যখন কম তখন তাকে দিয়ে নানানভাবে অর্থ আয় করে একটি পরিবার চলে এবং তারও খাবারের ব্যবস্থা হয়। কিন্তু যখন সেই হাতিটির বয়স হয়ে যায় তখন তাকে দিয়ে অর্থ আয়ের সুযোগ কমে যায়। পরিবারটি অর্থের প্রবল সংকটে পরে, হাতিটিরও খাবারের যোগান কমে যায়। ফলে পরিবারটি নানান বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। যে কারণে বয়ষ্ক হাতিটি এক সময় বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। মূলত আমরা হাতির কষ্টটাকে দেতখানোর চেষ্টা করেছি। যেহেতু এটা আমাদের ড্রিম প্রজেক্ট ছিলো, তাই অনেক কষ্ট হলেও নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে আমরা কাজটি করেছি। আমার প্রবল বিশ্বাস নাটকটি দর্শকের ভালোলাগবে।’

আরও পড়ুন

ফজলুল হক বলেন,‘ নিলয় ভাই’সহ জর্জ ভাই, হিমি এক কথায় অনেক কষ্ট করেছেন। হাতির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তারাও অনেক সময় কেঁদে ফেলেছেন। আমি ভীষণ আশাবাদী।’ আগামী ঈদে নাটকটি বাংলাভিশনে প্রচার হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুনামগঞ্জ ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিন: মির্জা ফখরুল

সুষ্পষ্টভাবে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান তারেক রহমানের

লোকে লোকারণ্য নয়াপল্টন, চলছে শ্রমিকদলের সমাবেশ

কুষ্টিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন থেকে য়ুবকের মরদেহ উদ্ধার

 নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩