ভিডিও রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো গণঅধিকার পরিষদ

সংগৃহীত,নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলো গণঅধিকার পরিষদ

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ। 

মঙ্গলবার দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, আলরাজি কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলন করে নানা কর্মসূচি তুলে দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন।

এতে দলের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে একের পর এক আন্দোলন সরকারের স্থিতিশীলতার পথে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে বুলডোজার দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ সহ সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যেখানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, সেখানে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। অথচ সচিবালয়, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ প্রশাসন ও সরকারের সকল সেক্টরে আওয়ামী সুবিধাভোগীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে।
 
গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা সরকারের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ ও সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলানোর শামিল। এছাড়া গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার পরে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের অবস্থান সম্পর্কে জানি না। 

তিনি বলেন, বড় বড় ডেভিলরা পালিয়ে গেছে। তবে অপারেশন ডেভিল হান্টকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এর মাধ্যমে যেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ ও নিরীহ কোনো কর্মী-সমর্থক হয়রানির শিকার না হয়। শুধুমাত্র অপরাধীরাই যেন অপারেশন ডেভিল হান্টের অন্তর্ভুক্ত হয়।

এ সময় তিনি বিভিন্ন কর্মসূচির কথা জানান। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর বিক্ষোভ সমাবেশ করবে।

এছাড়া জনগণকে গণহত্যার বিচারে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হবে। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

আরও পড়ুন

গণঅধিকার পরিষদের ৫ দফার মধ্যে-জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিগত ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও শহীদদের সঠিক তালিকা তৈরি, ক্ষতিপূরণ এবং যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। 

জুলাই গণহত্যায় জড়িত বিদেশে পলাতক গণহত্যার মাস্টারমাউন্ড শেখ হাসিনাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা। 

ফ্যাসিবাদের আমলে উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থপাচারে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা। 
জন-আকাঙ্ক্ষার নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে কার্যকর সংস্কার নিশ্চিতে অভ্যুত্থানের অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও পরমাণু স্থাপনা বন্ধ না করার ঘোষণা ইরানের

ইরানের মূল পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে : ট্রাম্প

ইশরাক সমর্থকদের অবস্থানে আজও বন্ধ নগরভবন

আজ পাস হবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট

তেল আবিবসহ ইসরায়েলের ১০ স্থানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে : প্রধান উপদেষ্টা