বগুড়ার শেরপুরে শেরুয়া বটতলায় ফুটপাত দখল করে ভাড়া বাণিজ্যের অভিযোগ

শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলায় রাস্তার দুইধার দখল করে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের কাছে দৈনিক চাঁদার ভিত্তিতে রাস্তা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দোকানদারদের বিরুদ্ধে। এতে অস্থায়ী দোকানপাটের দখলে চলে গেছে রাস্তা ও ফুটপাত। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কসংলগ্ন শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর সড়কের মৎস্য অফিস পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত দখল করে কাঁচামাল-সবজির দোকান, ভাজাপোড়ার হোটেল, চা স্টলসহ নানা ধরনের দোকানপাট বসানো হয়েছে। ফুটপাতের পাশাপাশি রাস্তার বড় অংশ দখল করে প্রতিদিন দুপুরের পর থেকেই রাত পর্যন্ত কেনাবেচা চলায় যানজটে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
অভিযোগ আছে, রাস্তার দুই পাশের নির্মাণাধীন মার্কেটের মালিক ও পজিশন ভাড়াটিয়ারা এসব অবৈধ দোকানপাটের সুবিধাভোগী। তারা তাদের সামনের সরকারি রাস্তা দিনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদেরকে ভাড়া দেন।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে মির্জাপুর থেকে শেরুয়া বটতলা পর্যন্ত মহাসড়কের ওপর চাপ কমাতে রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্ত ও শক্তিশালীকরণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ করা হয়। তবে, শেরুয়া বটতলা থেকে মৎস্য অফিস পর্যন্ত রাস্তার ওপর প্রতিদিন অস্থায়ী দোকান বসানোয় এ সড়কের সুফল পাচ্ছেন না জনগণ।
আরও পড়ুনঅন্যদিকে, শেরুয়া বটতলা থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত এই রাস্তার দুই ধারে অটোরাইস মিল, সেমিঅটোরাইস মিল, বিনোদন পার্কসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বাসিন্দা বেলাল হোসেনসহ একাধিক পথচারী বলেন, মানুষজন প্রতিদিনই এখানে যানজটে আটকে থাকেন। এই রাস্তা দিয়েই ঐতিহাসিক তীর্থস্থান মা ভবানী মন্দিরে যাতায়াত করেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এ তীর্থস্থানে যেতে চরম যানজটের শিকার হন। বিশেষ করে বিকেলে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে।
শেরুয়া বটতলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল বারী মির্জা ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু বলেন, এসব অবৈধ ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীদের বারবার নোটিশ দিলেও তারা কর্ণপাত করছেন না। ইতিমধ্যেই ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, এ সড়কের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন