ভিডিও শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের একটি ব্রিজ ও সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের একটি ব্রিজ ও সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : মাত্র ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু আর সাথে সংযোগ সড়কে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদী পাড়ের বিশ্বনাথপুর, তালুক রহিমাপুর ও চরপাড়াবাসীর কাছে। উপজেলা সদরের খুব কাছাকাছি হলেও সেতু ও সংযোগ সড়ক না থাকায় গ্রাম ৩টির পারস্পারিক সড়ক যোগাযোগ ছিল খুবই দুর্গম।

এখন সেতু ও সেতুর দু’পাশে সংযোগ সড়কের মাধ্যমে খুব সহজেই বেচাকেনার জন্য জমির উৎপাদিত কৃষিপণ্য সড়ক ব্যবহার করে আনা নেয়া করতে পারবে এই তিন গ্রামের প্রায় ৫ হাজার কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। শিক্ষার্থীরাও এখন খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে যেতে পারবে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় এই উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসী।

বিশ্বনাথপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আশির দশকে একসময় এই পথে মাত্র ৪ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে অল্পসময়ে উপজেলা সদরে যাওয়া যেতো তাদের  নিত্যদিনের কাজে। কিন্তু ৮৮ ভয়াল বন্যার পর এই গ্রাম তিনটির সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিশ্বনাথপুরের মানুষ প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে কাটাখালি বালুয়া দিয়ে মহাসড়ক ব্যবহার করে উপজেলা সদরে যাওয়া আসা শুরু করেন।

আর তালুক রহিমাপুর ও চরপাড়া গ্রামের মানুষ তাদের বিশ্বনাথপুরে আসতে ব্যবহার করতো আইলপথ। তখন থেকেই তাদের দাবি ছিল এই সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণের। এই দাবির প্রেক্ষিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দরবস্ত ইউপির বিশ্বনাথপুরে ১২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু এবং সড়ক নির্মাণ করে। তালুকরহিমাপুর, বিশ্বনাথপুর ও চরপাড়া গ্রামবাসীর যোগাযোগে নতুন এ সড়ক ও ব্রিজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সচেতন মহলের দাবি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রাধীন গ্রামীণ রাস্তায় ১২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সেতু নির্মাণের অনুমোদন নেয়। আর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে গোবিন্দগঞ্জের ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম রফিক ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

আরও পড়ুন

ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান দুলু জানান, নতুন ব্রিজ ও সড়কটি নির্মিত হওয়ায় তালুকরহিমাপুর, বিশ্বনাথপুর ও চরপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার লোকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। চর এলাকা হওয়ায় কৃষি ফসল উৎপাদনে এলাকাটি বিশেষভাবে পরিচিত।

বর্ষার সময় নৌকাই ছিল তাদের একমাত্র সম্বল। সড়কটি সম্পন্ন হলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি এবং কৃষি ফসল উপজেলা শহরে আনা নেওয়ায় এখন যুগান্তকারী অবদান রাখবে এ সড়ক ও ব্রিজটি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী, সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মেপে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জায়গার ওপরে ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কারো জমি দখল করে ব্রিজ কিংবা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।

বর্তমানে ব্রিজটি দিয়ে মানুষসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়াও কাইয়াগঞ্জে করতোয়া নদীর ওপর যে ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে, সেটা সম্পন্ন হলে উপজেলা সদরে যেতে এই এলকার মানুষ মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি ভাঙচুর

ডিবি কার্যালয়ে অভিনেত্রী সোহানা সাবা

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বগুড়া জেলা আ’লীগ কার্যালয়

তিন পল্লী উন্নয়ন একাডেমির নাম পরিবর্তন

ফুটবলকে বিদায় জানালেন মার্সেলো

গানে গানেই মঞ্চ মাতাতে চান তারা